হু প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। ফাইল চিত্র।
আগামী দু’বছরের আগেই করোনামুক্ত হবে বিশ্ব। শুক্রবার এমনই আশা প্রকাশ করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র (হু) প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রেয়েসাস। তিনি বলেন, “আশা করছি দু’বছরেরও কম সময়ে এই অতিমারি থেকে নিষ্কৃতি পাবে গোটা বিশ্ব।”
করোনার কথা বলতে গিয়ে তিনি ১৯১৮-র স্প্যানিশ ফ্লু অতিমারির প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তাঁর মতে, সে সময় উন্নত প্রযুক্তি ছিল না। এত অত্যাধুনিক ব্যবস্থাও ছিল না। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল স্প্যানিশ ফ্লু। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে করোনাকে দ্রুত বাগে আনা যাবে বলেই মনে করেন হু প্রধান।
করোনা কেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল তার একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। টেড্রস বলেন, “বর্তমান যুগে বিশ্বায়ন, পারস্পরিক সান্নিধ্যের কারণে করোনা গোটা বিশ্বে অতি দ্রুত বেগে ছড়িয়েছে। তবে করোনাকে ঠেকাতে আমাদের হাতে যে সব উপায় রয়েছে, সেগুলো সর্বোচ্চ পরিমাণে প্রয়োগ করতে হবে। সংযোজন হিসবে প্রতিষেধকও আনা হচ্ছে। আশা করছি, সব কিছু ঠিক থাকলে ১৯১৮-র ফ্লু-র চেয়ে কম সময়ে করোনামুক্ত হবে বিশ্ব।”
আরও পড়ুন: বাড়ল পরীক্ষা, কমল সংক্রমণ হার, ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ নতুন সংক্রমণ
অন্য দিকে, হু-র আপৎকালীন প্রধান মাইকেল রায়ান জানান, আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ অতিমারি স্প্যানিশ ফ্লু। তিনটে ধাপে এই ফ্লু থাবা বসিয়েছিল গোটা বিশ্বে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যত জন প্রাণ হারিয়েছেন তার চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি মৃত্যু হয়েছিল এই ফ্লু-এর হানায়। তাঁর মতে, করোনা এখনও পর্যন্ত স্প্যানিশ ফ্লু-র মতো দাপট দেখাতে পারেনি। তবে এই ভাইরাসকে যদি নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তা হলে তা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন রায়ান।
এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৩০ লক্ষ।