Coronavirus

আমেরিকায় মৃত ১১ জন ভারতীয়

শুধু নিউ ইয়র্কে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই মারণ-ভাইরাসে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকায় মারা গিয়েছেন অন্তত ১১ জন ভারতীয়। রোগের উপসর্গ মিলেছে চার মহিলা-সহ ১৬ জন ভারতীয়ের দেহে। তাঁদের মধ্যে ১০ জন নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সির বাসিন্দা ছিলেন। আমেরিকায় কোভিড-১৯-এর ভরকেন্দ্র নিউ ইয়র্ক। একই ভাবে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে নিউ জার্সির বাসিন্দাদেরও। নিউ ইয়র্কে মৃত ভারতীয়দের মধ্যে চার জন পেশায় ট্যাক্সিচালক ছিলেন বলে দাবি।

Advertisement

শুধু নিউ ইয়র্কে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই মারণ-ভাইরাসে। নিউ জার্সিতে মারা গিয়েছেন ১৫০০ জন। ফ্লরিডাতেও এক ভারতীয়ের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। ক্যালিফর্নিয়া এবং টেক্সাসে আক্রান্ত আরও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। যে ১৬ জন ভারতীয়ের দেহে করোনার লক্ষণ মিলেছে, তাঁরা আপাতত নিভৃতবাসে আছেন। এঁদের মধ্যে ৮ জন নিউ ইয়র্কের, ৩ জন নিউ জার্সির এবং বাকিরা টেক্সাস ও ক্যালিফর্নিয়ার বাসিন্দা। আক্রান্তেরা আদতে ভারতের উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। আমেরিকায় ভারতীয় দূতাবাস এবং সব কনসুলেট ভারতীয়দের পাশে দাঁড়িয়েছে। রয়েছে ভারতীয়-মার্কিন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানও। সংক্রমণ রুখতে সফরে কড়া নিষেধ থাকায় দেহ দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় অফিসারেরাই শেষকৃত্যে সাহায্য করছেন। সে সময়ে নিকটাত্মীয়দেরও থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।

নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনের বুশউইকে থাকা এক দম্পতি জানিয়েছেন, কী ভাবে তাঁদের জানলার বাইরের দৃশ্যগুলো হঠাৎ বদলে গিয়েছে। তাঁদের বাড়ির উল্টো দিকেই ওয়েকফ হাইটস মেডিক্যাল সেন্টার। তার বাইরে জমা হচ্ছে একের পর এক রেফ্রিজারেটর-সুদ্ধু ট্রাক। বুশউইকের বাসিন্দা অ্যালিক্স মন্টেলিয়োনে নামে তরুণী জানালেন, জানলা থেকে তাঁরা অগুনতি দেহ বেরিয়ে যেতে দেখছেন। অ্যালিক্স বলছেন, “কী চেঁচামেচি! বুঝতে পারছি, ভিতরে কী অসম্ভব খারাপ অবস্থা। আমরা এখন দেহ গোনা বন্ধ করে দিয়েছি। এটাই বাস্তব।” আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৭ হাজার পেরিয়েছে। মৃতের মোট সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

Advertisement

সূত্রের দাবি, ১ কোটি ৬৬ লক্ষ মার্কিন নাগরিক কাজ হারিয়ে বেকার-ভাতার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। গত তিন সপ্তাহে প্রতি ১০ জনে ১ জন করে কাজ হারিয়েছেন আমেরিকায়।

স্পেনে জরুরি অবস্থা মে মাস পর্যন্ত বাড়ানো হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সাঞ্চেজ। এ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষেরও উপরে। স্পেন এবং ইটালিতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির জেরেই ইউরোপে করোনার হানা এত ভয়াবহ হয়েছে। এ বার ইউরোপে চেনা ছন্দে ইস্টার দেখা যাবে না। লকডাউনের মেয়াদ বাড়ায় গির্জা থাকবে ফাঁকা। বলা হচ্ছে, পোপ ফ্রান্সিস গুড ফ্রাইডে সার্ভিসও লাইভ স্ট্রিমিং করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement