Coronavirus

সংক্রমণের মাত্রা বাড়লে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি হয়, তত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন

৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিয়ে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষের কাছাকাছি হলেও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মাদ্রিদ শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২০ ০২:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

দেশের ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ যদি কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন, তবে দেশের বাকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই সেই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ভাবা হয়েছিল এই ‘হার্ড ইমিউনিটি’ বা গোষ্ঠী প্রতিরোধ তত্ত্ব হয়তো করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর হতে পারে। কিন্তু স্পেনের এক নয়া সমীক্ষায় প্রশ্ন উঠল, সংক্রমণের মাত্রা বাড়লেও কি আদৌ জনগোষ্ঠীর মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়? সম্প্রতি চিকিৎসা সংক্রান্ত জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে সেই সমীক্ষা। ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিয়ে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষের কাছাকাছি হলেও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশের।

Advertisement

গোষ্ঠী-প্রতিরোধ তত্ত্ব নিয়ে এত বড় গবেষণা আগে হয়নি ইউরোপে। রিপোর্ট বলছে, স্পেনের উপকূলীয় এলাকাগুলিতে অ্যান্টিবডি তৈরির হার তিন শতাংশের নীচে। অথচ হার্ড ইমিউনিটির তত্ত্ব অনুযায়ী, যে সব এলাকায় সংক্রমণের মাত্রা বেশি হবে সে সব জায়গায় মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির হারও বেশি হবে। স্পেনের উপকূল এলাকাগুলিতে তা হলে হার্ড ইমিউনিটির তত্ত্ব খাটছে না কেন? গবেষকদের একাংশের ব্যাখ্যা, স্পেনে কোভিড-১৯-এর প্রভাব মারাত্মক হলেও নির্দিষ্ট এলাকায় অনেক বেশি মানুষ একসঙ্গে সংক্রমিত হননি। ফলে জনগোষ্ঠীর মধ্যে হার্ড ইমিউনিটিও তৈরি হয়নি।

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

Advertisement

সমীক্ষায় যুক্ত এক গবেষকের কথায়, ‘‘গোষ্ঠী প্রতিরোধ তৈরি করতে হলে বহু মানুষের মৃত্যুকে মেনে নিতে হবে। চিকিৎসা ব্যবস্থার উপরে ব্যাপক চাপ আসবে। এই পরিস্থিতিতে তাই পারস্পরিক দূরত্ববিধি মানা, নতুন করে কেউ আক্রান্ত হলে তাঁকে চিহ্নিত করে আইসোলেট করার মাধ্যমেই অতিমারি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’’

বিশ্বে করোনা মৃত- ৫,৪৩,৫৪১ আক্রান্ত- ১,১৮,৪৪,৭০৬ সুস্থ-৬৮,১২,৪৭৮

প্রকৃতপক্ষে করোনা-প্রতিরোধে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির ভরসায় আর থাকতে চাইছেন না বিজ্ঞানীরা। এই অবস্থায় করোনার টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে ১৬০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে মার্কিন সরকারের। এ দিকে রাষ্ট্রপুঞ্জ আজ সতর্ক করেছে, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণ রক্ষার চেষ্টা না করলে পশু থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে এমন রোগের প্রকোপ ক্রমশ বাড়বে।

আজ নতুন করে ১৪ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক বেড়েছে হংকংয়ে। অন্য দিকে, সংক্রমণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না আসায় বুধবার মধ্যরাত থেকে ফের ছ’সপ্তাহের জন্য লকডাউন চালু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। আগামী বছরের আগে কোনও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল চালু করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কেনিয়ার শিক্ষা মন্ত্রক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement