এত কম কোভিড পরীক্ষা সত্ত্বেও কী করে পাকিস্তানের প্রশংসা, সন্দেহটা সেখানেই। রয়টার্সের দেওয়া ছবিটি গত সপ্তাহে লাহৌরের একটি বাজারের।
পরিসংখ্যানের ব্যাখ্যা নিয়ে প্রচুর তর্ক-বিতর্ক। তার কারণ রাজনীতি বা সমাজবিজ্ঞানে কেউ তো বলেন না যে চারশো মিলিলিটারের গেলাসে দুশো জল। একপক্ষ দেখেন অর্ধেক ভর্তি, অন্যপক্ষ বাকি আর্ধেক। তার আগের বিষয়টি আরও জটিল। দুশো মিলি মাপল কে? জল মাপাতেই কি গণ্ডগোল আছে? সেই কারণেই অনুমানভিত্তিক সত্যের সারণিতে আসে মিথ্যে, চরম মিথ্যে আর তার উপরে সর্বশক্তিমান স্ট্যাটিসটিক্স। তথ্য খুঁড়ে আবিষ্কৃত যে কোনও সিদ্ধান্তের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা যা ধাপ, তার মধ্যে সামান্য অদলবদল করলেই নরেন্দ্র মোদীকে সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য কিংবা সীতারাম ইয়েচুরিকে রামমন্দিরের প্রধান পুরোহিত বানিয়ে দেওয়া যায়, এবং বেশ আত্মবিশ্বাস সহযোগে। তাই বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) যখন বলছে পাকিস্তানের কোভিড পরিস্থিতি ভীষণ ভাল এবং তা নাকি দেখে শেখা উচিত অন্যান্য দেশের, তখন ইমরান খানকে শংসাপত্র দেওয়ার আগে এক চিমটে নুন মিশিয়ে ডেটা-চচ্চড়ি চেখে দেখার দায় থাকেই।
শুরুতেই বলে নেওয়া ভাল, সাদা চোখে দেখা পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই মুহূর্তে ভারতে কোভিড সংক্রমণের মাত্রা বেশ বিপজ্জনক। গ্রাফ এখনও উঠছে, নামার লক্ষণ নেই। ভাইরাসের মারণক্ষমতা কমেছে বলেই মনে হচ্ছে, আর সেটাই একমাত্র স্বস্তির খবর। শহরের রাস্তাঘাটে লকডাউন থাকলে লোকজন কিছুটা মানছেন। কিন্তু অন্যান্য কাজের দিনে দস্যু মোহনেরা (মুখে মুখোশ পরা জনগণের এর থেকে ভাল উপমা আর কী হতে পারে) যানবাহন কিংবা পথেঘাটে স্বতঃস্ফূর্ত যে ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাতে ভাইরাসের দাপট চটজলদি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। মাস কয়েক আগেই সকলে আলোচনা করেছিলাম যে কোভিড অলিম্পিকে শীর্ষস্থান পেতে আমাদের বিশেষ দেরি নেই। তেমনটাই ঘটেছে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )
তবে সার্বিক ভাবে দেখতে গেলে সরকারের (কেন্দ্র এবং রাজ্য সকলকেই ধরে) তুমুল নিন্দে করার জায়গা খুব বেশি নেই। সকলেই চেষ্টা করছেন যাতে সংক্রমণ না বাড়ে। এর মধ্যে স্বাধীনতা দিবসে প্রতিষেধক উদ্বোধন কিংবা অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে অসহায় মৃত্যুকে ব্যতিক্রমী বিষয় হিসেবে ধরে নেওয়াই ভাল। জীবন এবং জীবিকার অপটিমাইজেশনের অঙ্কে এ দেশের মানুষ একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন এমনটাও নয়। লড়াই জারি আছে। ফসল ভাল হচ্ছে। সীমিত ক্ষমতার মধ্যে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারগুলো অবশ্যই আরও ভাল কাজ করতে পারত। তবে যেটুকু হয়েছে সেটাও ফেলে দেওয়ার মতো নয়। সেই কারণেই একটু অবাক হতে হয়, যখন পাকিস্তানের লেখচিত্র অসাধারণত্বের আভাস দেয়। গ্রাফের উপরে উঠে দারুণ ভাবে নেমে আসার মধ্যে এটাই বোঝা যায় যে সেখানে সবথেকে খারাপ সময়টা শেষ। একেবারে ঘণ্টার ছবি সেই লেখচিত্রে স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: ‘কালো রবিবার’, কৃষি বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়ে বললেন মমতা
অর্থাৎ পরিসংখ্যান জানাচ্ছে কোভিড অতিমারি রুখে দিয়ে অসাধারণ ভাল পরিস্থিতিতে আমাদের পড়শি দেশ। সেই কারণেই তো হু বলেছে পাকিস্তানের কাছ থেকে শিখতে। পোলিও দূরীকরণে সে দেশ যে ভাবে কাজ করেছে, সেই রাস্তায় শিক্ষা নিয়েই নাকি তারা অতিমারি সামলাচ্ছে। কিন্তু এই অতি সরলীকরণ খুব সহজে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না, এবং ভুরুর ভাঁজ বাড়ছে। সে আলোচনায় ঢোকার আগে একবার ঘুরে আসা যাক সিঙ্গাপুর থেকে। কারণ সে দেশের তথ্যের উপর বিশ্বাস করে সব দেশ। স্বচ্ছ ভাবে সেখানকার আকাশপাতায় প্রতিদিন জানানো হয় সংক্রমণ, সুস্থতা এবং মৃত্যুর খবর। অবশ্যই দেশ হিসেবে ভীষণ ছোট সিঙ্গাপুর। আমাদের কোনও কোনও শহরের থেকেও আয়তন বা জনসংখ্যায় কম। তবে এটা বুঝতে হবে যে জনঘনত্ব সে দেশে যথেষ্ট বেশি। তা ছাড়া, কয়েকটি অঞ্চলে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকেন ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এই সব দেশ থেকে কায়িক শ্রম বেচতে যাওয়া নিম্নবিত্ত মানুষ। সেই জায়গায় অসাধারণ দক্ষতায় পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে সেখানকার সরকার। দেশটা উন্নত, সেখানকার মন্ত্রীরা সকলেই উচ্চশিক্ষিত, আইনের শাসন কঠিন, গণতন্ত্র ততটা নেই (সূচকে ভারতের থেকে নীচে)। ফলে অত্যন্ত অল্পসংখ্যক মৃত্যু, এবং এই সময় প্রায় কোভিড সংক্রমণ-মুক্ত সিঙ্গাপুর সব দেশের কাছেই মডেল। তাদের মূল চ্যালেঞ্জ এখন দেশের সীমানা খুলে দেওয়া। বিদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ সিঙ্গাপুরে ঢুকলে যে কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে তা খুব পরিষ্কার নয়। এখনও সেখানে বিদেশ থেকে লোকজন ঢুকছেন, তবে তা সীমিত মাত্রায়।
পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও বাস্তব পরিস্থিতি কি তাই? পরিসংখ্যান তো আলোড়ন তুলে দেওয়ার মত। ভারতের থেকে অনেক ভাল। পাকিস্তানের লেখচিত্র খুঁটিয়ে দেখুন। জুনের মাঝামাঝি সেখানে সংক্রমণ ছিল তুমুল, দিনে ছয় হাজারের উপরে। এখন তা ছশোর আশেপাশে। গোটা দেশে এই মুহূর্তে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা নাকি মাত্র ন-হাজারের কাছাকাছি। লোক সেখানে বাইশ কোটির মত, মোটের ওপর ভারতের ছ-ভাগের এক ভাগ। কিন্তু সংক্রমণের অনুপাত একেবারে আলাদা। সে দেশ যে হঠাৎ করে সংক্রমণ রোখায় দক্ষ হয়ে গেল, এমন অঙ্ক সমাজবিজ্ঞানে মিললেও বিজ্ঞানে মেলে না। একটা সুবিধে হচ্ছে যে তাদের দেশের অর্ধেক মানুষের বয়স বাইশের নীচে। আমাদের তা সাতাশ। ইটালিতে এটা সাতচল্লিশ। ফলে বহু মানুষ এক ঝটকায় মারা যাওয়ার একটা কারণ ইটালিতে থাকতে পারে। কিন্তু ভারত-পাক আলোচনায় অল্পবয়সি শক্তপোক্ত আমজনতার যুক্তি দিয়ে কারও বিপুল তুলনামূলক সুবিধে পাওয়ার জায়গা কম। বাকি থাকল সেখানে গণতন্ত্রের সূচক। ভারতে যে গণতন্ত্র খুব অসাধারণ মাত্রা পাচ্ছে এমনটা নয়। বরং আজকের দিনে দেশ জুড়ে প্রচুর সমালোচনা যে তীব্র সামরিক জাতীয়তাবাদ এবং সংখ্যাগুরুর ধর্মীয় মৌলবাদের প্রেক্ষিতে গণতন্ত্র ধুঁকছে। তবে এ দেশে এখনও সরকারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে লেখাজোখার অভাব নেই। শাসকের বিরুদ্ধে কথা বললে সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান বা চিনে যে ধরণের শাস্তি হয়, আমাদের দেশে পরিস্থিতি তার তুলনায় অনেক ভাল। প্রধানমন্ত্রীর সত্তরতম জন্মদিনকে কংগ্রেস নাম দিয়েছে জাতীয় বেকারত্ব দিবস। ভাবুন তো চিনের ‘সম্রাট’ শি জিনফিং এর ‘ভরসা-পূর্তি’তে এমনটা কেউ করতে পারত কি? সিঙ্গাপুরে অবশ্য পরিস্থিতি চিনের থেকে কিছুটা আলাদা। কারণ এই মুহূর্তে সেখানকার সরকারের মাথাদের জীবনপঞ্জি দেখলেই বুঝবেন যে তাঁরা পশ্চিমি দেশগুলো থেকে ভাল পড়াশোনা করে আসা। ফলে দেশের আইনকানুন শক্ত হাতে বেঁধে রাখলেও সেখানকার মানুষজনকে দেশনেতাদের অবিমৃশ্যকারিতায় কষ্ট পেতে হয় না। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে হয়ত আমজনতার প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়কের সমালোচনা করার অনুমতি আছে। কারণ দেশটা তিনি চালান না। সেখানে অনেকটা দখলদারি সামরিক বাহিনীর। সেই জায়গায় আবার এই মুহূর্তে চিনের আধিপত্য কতটা সেটাও বোঝার প্রয়োজন।
অর্থাৎ এখানে যে ষড়যন্ত্র তত্ত্বটা আসছে তা হল— ভারতকে চাপে রাখার জন্যে চিন এই রাস্তাটা নিচ্ছে কিনা, যেখানে পাকিস্তান সরকারের কৃতিত্ব ফলাও করে দেখানো হচ্ছে অতিমারির দিনগুলিতে। মার্কিন দেশ থেকে বারবার অভিযোগ এসেছে যে চিনের সঙ্গে হু-এর টেবিলের তলায় প্রচুর আঁতাত। নেহাত ট্রাম্প সম্পর্কে বুদ্ধিজীবীদের ধারণা নেতিবাচক, তাই এই অভিযোগ বিশেষ মান্যতা পায়নি। কিন্তু এটা তো একেবারে সত্যি যে বিশ্ব জুড়ে সংক্রমণ ছড়ানোর মূল পাণ্ডা চিন এবং হু তখন অতিদ্রুত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তারা শুরুতেই সাবধান হলে এ ঘটনা ঘটত না। চিনে গণতন্ত্র সূচক দুনিয়ায় একেবারে নীচের দিকে, সেখানকার তথ্যও বিশ্ব জুড়ে খুব বিশ্বাসযোগ্য নয়। তর্কের খাতিরে এটুকু মেনে নেওয়া যেতেই পারে যে একনায়কতন্ত্রের বজ্রমুষ্টিতে তারা দক্ষ হাতে কোভিড সামলেছে। এখন তাই গণপ্রজাতন্ত্রী চিনে সংক্রমণ অত্যন্ত কম। কিন্তু ভারতের মত গণতান্ত্রিক দেশে জনগণকে চাবকে ঠান্ডা করে রাখার তত্ত্ব কাজ করে না। সেই হিসেবে আমাদের সংক্রমণ কিছুটা বেশি হবেই। ইউরোপ বা আমেরিকাতেও তাই ঘটেছে। অর্থাৎ গণতন্ত্রের সূচক ভাল হলে সংক্রমণ সামলাতে কিছুটা অসুবিধে হবে এটা বোঝাই যায়। সেই যুক্তিতে পাকিস্তানে সংক্রমণ কম হওয়ার পরিসংখ্যানকে সমর্থন করা যেতে পারে এই বলে যে সেখানকার গণতন্ত্রহীনতার দৌলতে কোভিড সংক্রমণ বেশ কম। কিন্তু সত্যি খুঁজতে গেলে সেখানেও কিছুটা অসুবিধে আছে।
সংক্রমণের সংখ্যা সঠিক ভাবে গুনতে গেলে প্রচুর পরীক্ষা করার প্রয়োজন। এ বার দেখা যাক এই মুহূর্তে ভারত এবং পাকিস্তানে দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা কত। ভারতে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ কোটি ৩৬ লক্ষ ৬১ হাজারের কিছু বেশি মানুষের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। পাকিস্তানে তা ৩১ লক্ষ ৬১ হাজারের কিছু কম । ভারতের জনসংখ্যা পাকিস্তানের তুলনায় ছ-গুণ। সেই হিসেবে ৩১ লক্ষ ৬১ হাজারের নমুনা পরীক্ষাকে ছয় দিয়ে গুণ করলেও দাঁড়ায় ১ কোটি নব্বই লক্ষের কম। অর্থাত্ ভারতের তুলনায় পাকিস্তানে পরীক্ষার হার তিন ভাগের এক ভাগেরও কম। পরীক্ষার সংখ্যা কমলে কোভিড আক্রান্ত মানুষের জনঘনত্ব বোঝা শক্ত এবং তা সঠিক সংখ্যার তুলনায় অনেকটা কম-বেশি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। হিসেব বলছে— ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের জনসংখ্যার ৪.৬১ শতাংশ মানুষের কোভিড পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে, পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা মাত্র ১.৪৪ শতাংশ। তাই শতাংশের নিরিখে তথ্যের অসম্পুর্ণতা যে ভারতের তুলনায় পাকিস্তানে অনেক বেশি তা পরিষ্কার।
একই তুলনা আসে পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও। বেশি অঙ্ক কষে লাভ নেই, তবে বিভিন্ন পরিসংখ্যান দেখে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থা যেন পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় অনেকটা ভাল। বাংলাদেশে ষোল কোটির বেশি মানুষ, পশ্চিমবঙ্গে দশ কোটির কাছাকাছি। কিন্তু সংক্রমণ এবং মৃত্যুতে ওপার বাংলার পরিসংখ্যান এপার বাংলার থেকে কম। রাজনৈতিক এবং আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে এমনটা কিন্তু হওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুন: নারী ক্ষমতায়নে ইতিহাস, এই প্রথম যুদ্ধজাহাজে যোগ দিচ্ছেন দুই মহিলা অফিসার
মোটের উপর এটা একেবারেই পরিষ্কার যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে ইউরোপের তুলনায় কোভিড পরীক্ষা হচ্ছে অনেক কম। ফলে যে ফলাফল আমরা দেখছি তার তুলনায় অনেক বেশি মানুষ সংক্রমিত। আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে অবশ্যই ভারতের পরীক্ষা সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের হার অন্যদের তুলনায় ভাল। সেই হিসেবে নিজের দেশের পরিসংখ্যান নিয়ে আমরা যতই মজা করি না কেন, তা পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য। তবে আত্মতৃপ্তি এড়িয়ে ভারত সরকার খোঁজ নিতেই পারে পাকিস্তানে সত্যিই পরিস্থিতি কেমন। কোনও কারণে যদি পাকিস্তানের অবস্থা সত্যিই দারুণ ভাল হয় এবং সেখানকার পরিসংখ্যান সঠিক হয়, সে ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতেই পারে। আশা করা যায় ইমরান সাহেবের দেশের ‘সামরিক শাসন’ কোভিড পরিস্থিতিতে ভাল ফলাফলের একমাত্র কারণ নয়। আর যদি শুধু তাই হয়, তা হলে আমাদের দেশ কিংবা রাজ্যগুলির শাসকদল পাকিস্তানের কাছ থেকে আর একটু ভাল ভাবে গণতন্ত্র হরণ করার উপায় শিখে নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে হয়তো কোভিড সংক্রমণ সত্যি সত্যি কমবে, নয়তো সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে ভুল তথ্য দিয়ে দেখানো যাবে যে সবাই সুস্থ। কোনটা চাই সেটা আমরাই নির্ধারণ করব, কোভিড নাকি গণতন্ত্র?
(লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক, মতামত ব্যক্তিগত)