হু প্রধান। ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাসের বিষয়ে অনেক দেশই ভুল পথে হাঁটছে। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিশ্বে এই অতিমারি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমনই সতর্কবার্তা দিলেন হু প্রধান প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রেয়েসুস। সেই সঙ্গে সমস্ত দেশের উদ্দেশে তিনি এ বার্তাও দিয়েছেন যে, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যদি কঠোর পদক্ষেপ না করা হয়, তা হলে আরও ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে পড়তে হবে গোটা বিশ্বকে।
সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতর জেনিভায় এক ভিডিয়ো কনফারেন্সে হু প্রধান বলেন, “বিশ্বের অনেক দেশই করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে না। আবার কোনও কোনও দেশ এই অতিমারি নিয়ে ভুল পথে হাঁটছে।” এর পরই হু প্রধানের হুঁশিয়ারি, “অতিমারি ঠেকাতে যদি প্রাথমিক বিষয়গুলিই অনুসরণ না করা হয়, তা হলে আগামী দিনে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর থেকে অতিভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।”
এই মুহূর্তে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আমেরিকা ও ব্রাজিলের। করোনাভাইরাসের হটস্পট হয়ে উঠেছে এই দুই দেশ। এই দুই দেশের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন হু প্রধান। এই দুই দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। হু প্রধান জানান, রবিবার গোটা বিশ্বে ২ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। যার মধ্যে ৫০ শতাংশই দু’টি দেশের এবং ৮০ শতাংশ সংক্রমণ দশটি দেশের।
আরও পড়ুন: ‘বেপরোয়া’ ট্রাম্প, বেলাগাম দেশও
অন্য দিকে, হু-র আপত্কালীন প্রধান মাইক রায়ানও আমেরিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমেরিকার যে সব জায়গায় সংক্রমণ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে, সেখানে কড়া লকডাউন চালু করা উচিত।” সঙ্কটময় পরিস্থিতির মধ্যেও আমেরিকা-সহ অনেক দেশেই স্কুল-কলেজ চালু হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সব দেশের উদ্দেশে রায়ানের বার্তা, এমন পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজকে রাজনীতির শিকার বানাবেন না। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার উপরই জোর দিয়েছেন রায়ান।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লক্ষ ৭০ হাজার ৯৭ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭২হাজার। সংক্রমণের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। সেখানের মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৪ লক্ষ। মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৮৪ হাজার। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭৩ হাজার মানুষের। সংক্রমণের নিরিখে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, এখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ০৬ হাজার ৭৫২ জন।