চিন থেকে দেশে ফিরছেন ভারতীয়রা। —ফাইল চিত্র
মারণ ভাইরাস আক্রান্ত চিনের উহান থেকে ১১২ জনকে উদ্ধার করে আনল ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান ‘এসি-১৭ গ্লোবমাস্টার থ্রি’। এই বিমানে করেই সাহায্য হিসেবে চিনে পৌঁছে দেওয়া হয় ১৫ টন চিকিৎসাসামগ্রী। ফেরার পথে বিমানটি দেশে নিয়ে এসেছে উহানে আটকে থাকা ওই ১১২ জনকে।
এয়ার ইন্ডিয়ার অন্য একটি বিমানে আজই আবার টোকিয়া থেকেও ১২৪ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জাপান উপকূলে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা ভাইরাস-আক্রান্ত জাহাজ ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’-এ আটকে ছিলেন এঁরা।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আজ জানানো হয়েছে, উহান থেকে উদ্ধার করে আনা ১১২ জনের মধ্যে ৭৬ জন ভারতীয়। বাকি ৩৬ জন বিদেশি নাগরিক। এঁদের মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশি, ৬ জন চিনের নাগরিক, ২ জন করে মায়ানমার, মলদ্বীপ এবং ১ জন করে দক্ষিণ আফ্রিকা, আমেরিকা ও মাদাগাস্কারের বাসিন্দা। জাপান থেকে উদ্ধার করে আনা ১২৪ জনের মধ্যেও ভারতীয় ছাড়া দু’জন শ্রীলঙ্কার, এক জন করে নেপাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পেরুর বাসিন্দা। জাহাজের তিন ভারতীয় কর্মী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে উঠতে চাননি। তাঁরা জাপান সরকারের নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ করার পরেই ফিরবেন বলে জানান। এ দিকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রত্যেককে মানেসরের সেনা ক্যাম্পে ১৪ দিনের জন্য আলাদা করে রাখা হবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আজ বলেন, ‘‘তিনটি বিমানে মোট ৭২৩ জন ভারতীয় ও ৪৩ জন বিদেশিকে চিন থেকে দেশে উদ্ধার করে আনা হল।’’
চিনে মৃত্যুর হার কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে চিনে। বিগত কয়েক সপ্তাহে সব চেয়ে কম। কিন্তু গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেই। ব্রিটেনে দু’জনের দেহে নোভেল করোনাভাইরাস মিলেছে। এদের মধ্যে এক জন ইটালি থেকে ও অন্য জন স্পেন থেকে ফিরেছেন সদ্য। এই নিয়ে ব্রিটেনে সংক্রমিতের সংখ্যা মোট ১৫। ডেনমার্কে আজ প্রথম সংক্রমণের খবর মিলল। এ ক্ষেত্রেও আক্রান্ত কিছু দিন আগে ইটালি থেকে ফিরেছেন।
সংক্রমণ ঠেকাতে মক্কায় তীর্থযাত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব। ইরানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১০৬টি নতুন সংক্রমণের খবর মিলেছে। এই নিয়ে ইরানে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ছুঁল ২৪৫। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত ১২০০। পরিস্থিতি শক্ত হাতে সামাল দিতে না পারার অভিযোগে প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের পদত্যাগের দাবিতে ৯ লাখ সই জমা পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।