International news

চারিদিকে মৃত্যুর হাহাকার, ঠিক ১০০ বছর আগে আর এক অতিমারির শিকার হয়েছিল বিশ্ব

সারা বিশ্ব জুড়ে ঠিক এরকমই একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্রতিদিন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসছিল একটার পর একটা মৃত্যুর খবর।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২০ ১৩:৪০
Share:
০১ ১৪

আজ থেকে ঠিক ১০২ বছর আগের কথা। সারা বিশ্ব জুড়ে ঠিক এরকমই একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্রতিদিন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসছিল একটার পর একটা মৃত্যুর খবর।

০২ ১৪

কাট টু ২০২০। ঠিক যেমন পরিস্থিতির মুখোমুখি আজ আমরা। আমেরিকা, ইটালি, ফ্রান্স থেকে শুরু করে, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ- সারা বিশ্ব জুড়েই যেন সেই মৃত্যুরই হাহাকার।

Advertisement
০৩ ১৪

২০২০-র এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করোনাভাইরাস। আর ১০২ বছর আগের ওই পরিস্থিতির জন্য দায়ী ছিল স্প্যানিস ফ্লু।

০৪ ১৪

১৯১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯২০-র ডিসেম্বর পর্যন্ত, বছর দুয়েকের সেই অতিমারির দাপটে সংক্রমিত হয়েছিলেন বিশ্বের প্রায় ৫০ কোটি মানুষ।

০৫ ১৪

তাতে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৫ কোটি মানুষের। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ অতিমারী।

০৬ ১৪

স্প্যানিস ফ্লু নামকরণ হলেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব কিন্তু স্পেনে ঘটেনি। প্রথম ঘটেছিল আমেরিকায়। তারপর তা জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন হয়ে ক্রমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল।

০৭ ১৪

তবে স্পেনে সে সময় সংবাদমাধ্যম অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। এবং স্পেনে ঘটা এই মহামারীর খবর সংবাদপত্রে ছাপা শুরু হয়। স্পেন থেকেই প্রথম এই রোগের কথা সারা বিশ্ব জানতে পেরেছিল বলে, রোগের নামকরণ করা হয় স্প্যানিশ ফ্লু।

০৮ ১৪

পরে অবশ্য জানা গিয়েছিল, স্পেনে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল আমেরিকা থেকেই। কতটা ভয়াবহ ছিল এই সংক্রমণ?

০৯ ১৪

বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হিসাব থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে অন্যান্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের থেকে এই রোগের অনেকটা তারতম্য ছিল।

১০ ১৪

সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস কম বয়সি এবং বয়স্কদের উপরই বেশি প্রভাব ফেলতে সক্ষম। করোনাভাইরাসও যেমন চিকিত্সকদের মতে এই দুই বয়সি মানুষের শরীরেই বেশি ক্ষতি করতে পারে।

১১ ১৪

এর কারণ রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতার তারতম্য। শিশুদের এবং বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অনেকটাই কম থাকে। সে কারণে এঁদেরই মৃত্যুর হার বেশি হয়।

১২ ১৪

কিন্তু স্প্যানিশ ফ্লু ছিল কিছুটা আলাদা। এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছিল যুবক-যুবতীদের। ২০ থেকে ৪০ বছর যুবক-যুবতীরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের মৃত্যুর হারও ছিল অনেক বেশি।

১৩ ১৪

এই রোগে কেউ আক্রান্ত হয়েছেন, সেটা বোঝার আগেই তাঁর মৃত্যু হত, এতটাই ভয়াবহ ছিল এই সংক্রমণ। বিষয়টা অনেকটা এরকম ছিল, কোনও ব্যক্তি হয়তো ঘুম থেকে উঠে নিজেকে বেশ দুর্বল মনে হচ্ছিল।

১৪ ১৪

তিনি প্রাত্যহিক সব কাজ গুছিয়ে অফিসে বার হলেন। কিছু ক্ষণ পরই তাঁর জ্বর এল এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হল। সঙ্গে বমি এবং নাক দিয়ে রক্তপাত। এরপর আর চিকিত্সার খুব বেশি সুযোগ পেতেন না তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement