একার জন্য রেস্তরাঁ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
করোনাভাইরাসের ছোঁয়া এড়াতে একে অন্যকে এড়িয়ে চলছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মল, সিনেমা হলের মতো রেস্তরাঁও বন্ধ। ফলে যদি বাইরে খেতে ইচ্ছে হয়, অন্তত রেস্তরাঁয় যাওয়ার কোনও উপায় নেই। না ভুল ভাবছেন, রেস্তারাঁ খুলতে চলেছে। আসলে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনেই এবার একটি রেস্তরাঁ খুলছে। আর সেখানে শুধু সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মানাই নয়, তাকে প্রায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন রেস্তরাঁ মালিকরা। কারণ এই গোটা রেস্তরাঁয় এক সঙ্গে মাত্র এক জনই খেতে পারবেন। তাও তাঁর কাছে খাবার দিতে কেউ আসবেন না। অবাক হচ্ছেন?
সুইডেনে ভার্মল্যান্ড এলাকায় এই অস্থায়ী বা পপ-আপ রেস্তরাঁ খুলেছেন র্যাসমাস পার্সন ও তাঁর স্ত্রী লিন্ডা কার্লসন। র্যাসমাস আগে রাঁধুনির কাজ করতেন। তবে এমন অভিনব ‘সোলো’ রেস্তরাঁ খোলার পরিকল্পনা তাঁদের মাথায় মাত্র কিছু দিন আগেই এসেছে।
সম্প্রতি এক দিন লিন্ডার বাবা-মা তাঁদের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য আসেন। সেদিন, জানালা দিয়ে দূর থেকে খাবার পরিবেশন করেন র্যাসমাস। তখনই তাঁদের মাথায় আসে, এ ভাবে তো সবার জন্যই খাবার পরিবেশন করা সম্ভব, খোলা যেতে পারে একটি রেস্তরাঁ।
আরও পড়ুন: বাইক চালিয়ে এসে শিশুকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা বাঁদরের!
যেমন ভাবা তেমন কাজ। শুরু হয় সোলো রেস্তরাঁর পরিকল্পনা। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত, এবার শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। আর এই রেস্তরাঁয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার যা পরিকল্পনা করা হয়েছে তা দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের সব থেকে ধনী দেবতার মন্দিরে কাজ হারালেন ১৩০০ কর্মী
একদম ফাঁকা মাঠের মাঝে একটি টেবিল পাতা থাকবে। একটি মাত্র চেয়ার, এক জনই বসবেন সেখানে। ভাবছেন খাবার কে দিয়ে যাবে? কেউ দিয়ে যাবে না! খাবার আসার জন্য ব্যবহার করা হবে ‘রোপওয়ে’। টেবিলের পাশে একটি খুঁটির সঙ্গে দড়ি বাঁধা আছে। যা সরাসরি রান্নাঘর থেকে নেমে এসেছে। এই দড়ির মাধ্যমে আসবে খাবারে ঝুড়ি। তা থেকে খাবার তুলে নেবেন ক্রেতা। খাবার সরাসরি রান্নাঘর থেকে এভাবে ক্রেতার কাছে পৌঁছে যাওয়ায় ক্রেতা ও হোটেল কর্মীর পরস্পরের সংস্পর্শে আসার কোনও সম্ভাবনাই নেই। যদিও এই দম্পতি ছাড়া হোটেলের আর কোনও অতিরিক্ত কর্মীও থাকছেন না।
আরও পড়ুন: এ বার বিহারের গ্রাম থেকে হিমালয় দর্শন, দেখুন কী বলছেন গ্রামবাসীরা
আগামী ১০ মে ক্রেতাদের জন্য খুলে যাচ্ছে ‘বোর্ড ফর এন’ বা ‘এক জনের জন্য টেবিল’ নামের এই রেস্তরাঁ, আগামী পয়লা অগস্ট পর্যন্ত চালু থাকবে। সকলের পকেটের কথা ভেবেই খাবারে দাম ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিক দম্পতি।
দেখুন সেই রেস্তরাঁর ছবি:
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানা ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের সঙ্গে। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা, তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি প্রকাশযোগ্য বলে বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)