প্রতীকী চিত্র।
চিনের উহান প্রদেশেই প্রথম করোনাভাইরাসের প্রকোপ ধরা পড়ে। জানুয়ারির শেষের দিকেই গোটা এলাকা লকডাউন করে দেয় চিন প্রশাসন। এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, উহানেও সতর্কতামূলক কিছু বিধিনিষেধ রেখেই লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। এর পরই কয়েক হাজার যুগল ‘ছুটছেন’ বিয়ে করতে। আর তাতেই ক্র্যাশ করার জোগাড় স্থানীয় এক ওয়েব সিস্টেমের।
চিনা সংস্থা আলিবাবা-র একটি পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে ‘আলিপে’। আলিপে সে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পেমেন্ট সিস্টেমও বটে। আলিপে স্থানীয় এক বিয়ের আবেদন করার ব্যবস্থা (লোকাল ম্যারেজ অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম) চালায়। যাঁরা বিয়ে করতে ইচ্ছুক তাঁরা এই অনলাইন সিস্টেমে আবেদন করতে পারেন। তারপর তাঁরা তারিখ পেলে বাকি পদক্ষেপ করতে হবে। কিন্তু লক ডাউন ওঠার পর এত মানুষ বিয়ের আবেদন করতে শুরু করেছেন যে, সেই অনলাইন সিস্টেমে ট্রাফিক প্রায় ৩০০ গুণ বেড়ে গিয়েছে।
ট্রাফিকের এই অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার ফলে স্বাভাবিক গতিতে সাইট খুলছে না। অনেকেই মনে করছেন, সিস্টেম ক্র্যাশ করেছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরই আলিপে-র তরফে চিনা মাইক্রোব্লগিং সাইট উইবো-তে জানানো হয়, ‘সিস্টেম ক্র্যাশ করেনি, তবে সাইট খুলতে দেরি হচ্ছে। কয়েক বার রিফ্রেশ করলেই কাজ করছে’।
উহানে ২৩ জানুয়ারি থেকে লকডাউন শুরু হয়ে যায়, চলে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। মোট ৭৬ দিন চলা লকডাউনে সব বিয়ের তারিখ বাতিল করে দেওয়া হয়। এবার লাকডাউন উঠে যেতেই যুগলরা বিয়ের তারিখ পেতে যেন মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাতেই আলিপে-র সিস্টেম ছাড়াও এই ধরনের বিভিন্ন সাইটে ট্রাফিক বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: না ভিজিয়েই জীবাণুমুক্ত করা যাবে সব জিনিস, আইআইটি-তে তৈরি ৫০০টাকার যন্ত্র
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের মধ্যে লক্ষাধিক টাকার মালপত্র চেটে দিলেন এক মহিলা
আলিপে পেমেন্ট ছাড়াও অনলাইনে খাবার অর্ডারের মতো বেশ কিছু পরিষেবা দেয়। সম্প্রতি তারা সদ্যজাতদের নাম খোঁজার পরিষেবাও দিচ্ছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)