ব্রিটেনেও চলছে লকডাউন। ছবি: রয়টার্স
ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়-সহ দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে করোনা-সংক্রমণ সর্বাধিক। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। ওই সমীক্ষা জানাচ্ছে, হৃদ্রোগ ও ডায়াবিটিসের মতো অসুখে দক্ষিণ এশীয়রা ভোগেন বেশি। ফলে তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি।
ব্রিটেনের ‘ইনটেনসিভ কেয়ার ন্যাশনাল অডিট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’-এর তথ্য অনুসারে, করোনা আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ৩৫ শতাংশই কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সারা দেেশ ইনটেনসিভ কেয়ারে থাকা ২০০০ রোগীর উপরে সমীক্ষা চালিয়ে পাওয়া যায় এই তথ্য। ব্রিটেনে করোনা থাবা বসানোর পরে ভাইরাস মূলত ছড়ায় লন্ডনে। লন্ডনে বসবাসকারী ৪০ শতাংশ মানুষই ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত নন।
‘ইউনিভার্সিটি অব লেস্টার অ্যান্ড সেন্টার ফর বিএমই হেল্থ’-এর অধ্যাপক কমলেশ কুন্তি জানিয়েছেন, দেশে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িতরাও মূলত সংখ্যালঘু। ইংল্যান্ডে জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা বা এনএইচএস-এর সঙ্গে যুক্ত পাঁচ জনের এক জন অভিবাসী। ফলে তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ব্রিটেনে করোনায় মৃত চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যেও অনেকেই অভিবাসী। তবে স্কটল্যান্ডে করোনা আক্রান্ত ৯৮ বছরের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৃদ্ধা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।