এক জাহাজকর্মীর সঙ্গে বিনয়। (বাঁ দিকে)
সব কিছু ঠিক থাকলে জাপানের উপকূলে আটক ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজের বাঙালি কর্মী বিনয়কুমার সরকারের ২০ ফেব্রুয়ারি দেশের বিমানে ওঠার কথা। তার এক বা দু’দিন আগে তাঁকে জাহাজ থেকে নামিয়ে পরীক্ষা করা হতে পারে। আরও ৪০ জনকে সে দিন ছাড়া হতে পারে। শুক্রবার জাহাজ থেকে ফোনে এই কথা জানান বিনয়ই। সরকারি সূত্র থেকে তার আগেই জানানো হয়েছে, জাহাজে যাঁরা সুস্থ, তাঁদের থেকে প্রথম দফায় কয়েক জনকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এ দিনও দু’জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর মিলেছে। তার মধ্যে ভারতীয়ও রয়েছেন। আক্রান্তের বাড়ি মুম্বইয়ে।
এ দিন বিনয় জাপান থেকে ফোনে জানান, সংস্থার তরফে দেশে ফেরার টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তিনি টিকিট পেলেও অন্য বাঙালি সঙ্গীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগর থানার গোবিন্দপুরের বাসিন্দা, জাহাজের আর এক বাঙালি কর্মী স্বরূপ চম্পাদার জানান, তাঁদের ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। জাহাজ থেকে তিনি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানান, তাঁর বাড়ি থেকেও জাপানের ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়। তখন তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ১৯ তারিখই স্বরূপদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। কী ভাবে? স্বরূপ পরে জানান, সে দিন তাঁদের মেডিক্যাল চেক আপ হবে। যদি দেখা যায় করোনা-সংক্রমণ হয়েছে, তবে জাপানে রেখেই চিকিৎসা হবে। না হলে ফেরার ছাড়পত্র মিলতে পারে। বিনয়ও জানান, সকলেই একসঙ্গে নিরাপদে দেশে ফিরতে পারলে ভাল লাগত।
ছেলে ফেরার খবরে উত্তর দিনাজপুরের বিনয়ের বাড়ির লোক কিছুটা স্বস্তি পেলেও উদ্বেগও বেড়ে চলছে। শুক্রবার বিনয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মা চন্দ্রাদেবী। তিনি বলেন, ‘‘২০ তারিখ ফেরার কথা জানিয়েছে। কিন্তু এখনও বাকি ৬ দিন। যতক্ষণ না ফিরছে, উৎকণ্ঠা পুরো কাটছে না।’’