করোনা-আতঙ্কে ফাঁকা রাস্তা। বুধবার ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে মাস্ক পরে টহল দিচ্ছে পুলিশ।। এপি
নোভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েও মৃত্যুমুখ থেকে ফিরেছেন অনেকে। কিন্তু অনেকে যুদ্ধে হেরেছেন। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। বিশ্বে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৩৮২। সম্প্রতি এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বয়স হয়েছে, উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন কিংবা ডায়াবিটিস রোগী, এই সব ক্ষেত্রে আক্রান্তের জীবনের ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।
মারণ ভাইরাস প্রথম ছড়ায় গত বছর ডিসেম্বর মাসে, চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে। সেখানকার দু’টি হাসপাতালে ভর্তি এমন ১৯১ জন রোগীকে নিয়ে গবেষণাটি হয়। পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে জীবনের ঝুঁকি বেশি কাদের। জিনওয়াইতান হাসপাতালের চিকিৎসক ঝাইবো লিউ বলেন, ‘‘বয়স বেশি হলে, হাসপাতালে ভর্তির সময়েই রক্তে সংক্রমণ ঘটে থাকলে বা শরীরে কোথাও পচন ধরে থাকলে কিংবা যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস থাকে— এই সব ক্ষেত্রে মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি। বয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কা বেশি তার কারণ, বয়সের ভারে শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।’’ লিউ জানান, বয়স হলে মানুষের ইমিউনিটি কমে যাওয়ার পাশাপাশি প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন বেড়ে যায়। যাতে দ্রুত হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়।
১৯১ জন রোগীকে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এর মধ্যে ১৩৭ জনকে সুস্থ হওয়ার পরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ৫৪ জন মারা যান। তবে গবেষকদের মতে, খুব অল্প সংখ্যক নমুনা (রোগীদের) নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাই রিপোর্টের ফলও সীমিত।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ভাইরাসটি আক্রান্তের দেহের অতিথি কোষে বংশবিস্তার করতে থাকে। নিজের প্রতিলিপি গঠনের সময়ে অতিথি কোষের যাবতীয় রসদ শুষে নেয় এরা। তার পর ছড়াতে থাকে। একে ‘ভাইরাল শেডিং’ বলে। শরীরে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রক্রিয়া চললে জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।