মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।—ছবি এএফপি।
প্রেসিডেন্টের আবার মাস্ক কিসের! এ সব যে তাঁর ‘পোষায় না’, এপ্রিলের গোড়ায় সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মে-র প্রথম সপ্তাহেই করোনায় মৃতের সংখ্যা ৭৩ হাজার ছাড়িয়েছে তাঁর দেশে। ‘স্ট্রংম্যান’ ট্রাম্প তবু একবগ্গাই। অ্যারিজ়োনার মাস্ক তৈরির কারখানায় গিয়েছিলেন গতকাল। সেখানকার কাজকর্ম দেখে ‘উচ্ছ্বসিত’ ট্রাম্প প্রকাশ্যেই বললেন, ‘‘আমি চিয়ারলিডার হতে চাই।’’ সেই কারখানার আনাচে-কানাচে চোখে পড়ল সতর্কবার্তা— ‘মুখ থেকে মাস্ক সরাবেন না।’ ট্রাম্প তবু আগাগোড়া সেখানে রইলেন মুখোশ ছাড়াই!
করোনা-মৃত্যুর নিরিখে বিশ্বে প্রথম। আমেরিকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণও। আক্রান্ত এখন প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ। এ দিকে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে বেশ কয়েকটি প্রদেশে উঠে গিয়েছে লকডাউন। এতে প্রাণহানির সংখ্যা যে আরও বাড়বে, তা নিজেই মানলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প গত কাল হোয়াইট হাউসের বাইরে পা রাখতেই অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, ট্রাম্প এ বার মাস্ক পরেই দেশবাসীকে সতর্ক করবেন। ট্রাম্প সেই পথই মাড়ালেন না।
সাংবাদিকদের শুধু বললেন, ‘‘লকডাউন যখন উঠেছে, তখন আরও কিছু মানুষের মৃত্যু তো হবেই। কিন্তু তা বলে তো আগামী পাঁচ বছর দেশটাকে অচল রাখতে পারি না!’’ এর প্রেক্ষিতে কূটনীতিকদের একাংশ জানালেন, নভেম্বরের ভোট মাথাই রেখেই ট্রাম্প এখন অলআউট খেলতে চাইছেন। তা বলে জনসমক্ষে মাস্কও পরবেন না?
আরও পড়ুন: ‘অস্ত্রোপচার হয়নি কিমের’
হোয়াইট হাউসের বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসক এমনকি ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও কিন্তু মাস্ক ব্যবহারের কথা বারবার বলছেন। মিনেসোটার একটি ক্লিনিকে সম্প্রতি তাঁর মাস্ক-ছাড়া যাওয়াটা যে ভুল হয়েছিল, তা মেনে নিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও।
ট্রাম্প তবু নিজের তালেই। এমনকি হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, চলতি মাস ফুরোলেই গুটিয়ে নেওয়া হবে করোনা টাস্ক ফোর্সকে। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা ট্রাম্পকে রোজকার করোনা-ব্রিফিং দেবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
এ সবের মধ্যে কিছু ভাল খবরও মিলেছে। আমেরিকার আরও একটি ওষুধ কোম্পানি তাদের সম্ভাব্য প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেছে। জোরকদমে কাজ চলছে ‘রেমডেসিভিয়ার’-এর উৎপাদন বাড়ানোর। অন্য একটি ওষুধ কোম্পানি জানিয়েছে, শীঘ্রই বাজারে আসছে তাদের অ্যান্টিবডি-ট্রিটমেন্ট।
আরও পড়ুন: শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যস্ত হয়নি কিন্তু