USA

সাড়ে ৩ লক্ষ মৃত্যু ছাড়াল আমেরিকায়

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সময়ে বলেছিলেন, এক লক্ষের মধ্যেই মৃত্যু-মিছিল থামবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৫৭
Share:

—ফাইল চিত্র

করোনায় মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৩ লক্ষ ছাড়াল আমেরিকায়। দৈনিক সংক্রমণ রোজই রেকর্ড গড়ছে। ডিসেম্বরে প্রায় রোজই ২ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। শনিবার এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৭ হাজার মানুষ। নতুন রেকর্ড। গোটা দেশে এখন মোট করোনা-আক্রান্ত ২ কোটি ৯০ হাজার।

Advertisement

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সময়ে বলেছিলেন, এক লক্ষের মধ্যেই মৃত্যু-মিছিল থামবে। তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। প্রতিবাদে এ দেশের একটি প্রথম সারির দৈনিক মৃত ১ লক্ষ মানুষের নাম প্রকাশ করে জানায়, এটা শুধুই সংখ্যা নয়, অনেকগুলো প্রাণ। এর পরের কয়েকটা মাসে পরিস্থিতি আরও জোরালো হয়েছে।

মাস্ক না-পরা ও দূরত্ববিধি ভঙ্গ আরও বাড়িয়েছে সংক্রমণ। সর্বশেষ সংক্রমণ ঢেউ আছড়ে পড়েছিল থ্যাঙ্কসগিভিং-এর পরে। উৎসবের মরসুমে বাসিন্দারা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়তেই বিপত্তি বাড়ে। বড়দিন নিয়েও একই আশঙ্কা প্রকাশ করে রেখেছেন আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় এপিডিমিয়োলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচি। তাঁর কথায়, ‘‘লোকজন কথা না-শুনে এক জায়গা থেকে অন্যত্র বেড়াতে গেলে সংক্রমণ বাড়বেই।’’ সাড়ে ৩ লক্ষ মৃত্যুর কারণ হিসেবেও বড়দিন ও নববর্ষকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞেরা। সব চেয়ে খারাপ অবস্থা নর্থ ক্যারোলাইনা, অ্যারিজ়োনার অবস্থা। প্রদেশ দু’টিতে মর্গ-মালিকেরা বলছেন, মৃতদেহ রাখার মতো জায়গা পাচ্ছেন না তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: টিকা দেওয়ার দৌড়ে প্রথমেই ইজ়রায়েল

গোটা বিশ্বে সাড়ে ৮ কোটি সংক্রমণ এবং সাড়ে ১৮ লক্ষ মৃত্যু। বেশ কিছু দেশে টিকাকরণ শুরু হয়ে গেলেও পরিস্থিতি শুধরানোর কোনও লক্ষণ নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) একটি রিপোর্টে দাবি করেছে, ২০১৯ সালের নভেম্বরে চিনের উহানে সেই যে প্রথম সংক্রমণ শুরু হয়েছিল, সেই থেকে এ পর্যন্ত, গোটা পৃথিবীতে অন্তত ৪টি স্ট্রেন বা ভ্যারিয়্যান্ট ছড়িয়েছে। ক্রমাগত মিউটেশনই এর জন্য দায়ী।

আরও পড়ুন: ভিনগ্রহীদের কাণ্ড? শিল্পকর্ম? রহস্যের অন্য নাম মোনোলিথ

ইতিমধ্যে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের ভাইরোলজিস্ট ক্যাথরিন হুলিহানের নেতৃত্বে চলছে আরও একটি গবেষণা। কোভিড রোগীদের সংস্পর্শে আসা মানুষেরা যাতে ওই রোগে আক্রান্ত না-হন, সেটাই এই গবেষণার লক্ষ্য। তাই কাজ চলছে একটি ওষুধ নিয়ে, যাতে সহায়তা করছে ওষুধ নির্মাতা সংস্থা অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা। ভাবনা এটাই, কোনও বাড়িতে বা প্রতিষ্ঠানে কারও কোভিড হলে অন্যরা নিজেদের সুরক্ষায় এই ইঞ্জেকশন নিয়ে নিতে পারেন। তাতে অনেক প্রাণ বাঁচবে। এটি একটি অ্যান্টিবডি থেরাপি, যাতে তাৎক্ষণিক রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায় ও ছয় থেকে বারো মাস সংশ্লিষ্ট মানুষটি সুরক্ষিত থাকতে পারেন। এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগও শীঘ্র শুরু হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement