ছবি: পিটিআই।
করোনাভাইরাসের জেরে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে সাড়ে আট কোটিরও বেশি শিশু নতুন করে দারিদ্রের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জের।
ইউনিসেফের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ‘‘কোভিড-১৯ অতিমারির জেরে যে অর্থনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ২০২০-এর শেষে আরও সাড়ে আট কোটির বেশি শিশুকে দারিদ্রের সম্মুখীন হতে হবে।’’ সমীক্ষকেরা জানাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে কম ও মাঝারি আয়ের দেশগুলিতে জাতীয় দারিদ্রসীমার নীচে থাকা শিশুর সংখ্যা ৬৭ কোটি পার করবে। এই শিশুদের দুই-তৃতীয়াংশই সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে আফ্রিকার দেশগুলি এবং দক্ষিণ এশিয়ার বাসিন্দা।
শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর এক কর্তার কথায়, ‘‘শিশুরা খুব অল্প সময়ের জন্য ক্ষুধা বা অপুষ্টিতে ভুগলেও শরীরে তার প্রভাব সারা জীবন থেকে যায়। ইউনিসেফের এই রিপোর্ট বিশ্বকে সচেতন করার জন্য।’’
করোনার প্রভাবে বিশ্ব জুড়ে ধ্বস্ত অর্থনীতি। দু’দিন আগেই আমেরিকায় মৃত্যু এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। এক- তৃতীয়াংশ ঘটনাই ঘটেছে বিশ্বের অর্থনৈতিক রাজধানী নিউ ইয়র্ক, ইউ জার্সি ও কানেক্টিকাটে। যার প্রভাবে গত তিন মাসে আমেরিকায় কর্মহীন হয়েছেন সাড়ে তিন কোটি মানুষ। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নিউ ইয়র্কে করোনা-মৃত্যুর হার কিছুটা কমলেও ২০টি প্রদেশে বেড়েছে।
পাকিস্তানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা-আক্রান্ত ২ হাজার ৭৬ জন। সে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু তেরোশো’র কাছাকাছি। আজ বাংলাদেশ জানায়, ৩১ মে থেকে বিধিনিষেধ মেনে অফিস ও পরিবহণ পরিষেবা চালু হবে।