Coronavirus

বিপদের মাত্রা বুঝে সবুজ, লাল ব্রিটেনও

ব্রিটেনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৩১ হাজারেরও বেশি। এই অবস্থায় লকডাউন সামান্য শিথিল করতে চেয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২০ ০৬:০০
Share:

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ছবি এএফপি

বিপদের মাত্রা কতটা, তা চিহ্নিত করে দেশকে পাঁচটি জ়োনে ভেঙে দেশবাসীকে সতর্ক করার প্রক্রিয়া চালু করতে চলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এক থেকে পাঁচের মধ্যে প্রথম স্তর ‘সবুজ’ অর্থাৎ যেখানে সংক্রমণের মাত্রা সবচেয়ে কম। চূড়ান্ত স্তর ‘লাল’, যেখানে সংক্রমণ সর্বাধিক। এই জ়োন ভাগ অনুযায়ী যে যে জায়গায় প্রয়োজন, সেখানে বিধিনিষেধ বাড়াবে সরকার।

Advertisement

ব্রিটেনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৩১ হাজারেরও বেশি। এই অবস্থায় লকডাউন সামান্য শিথিল করতে চেয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে। বরিস-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীরা জানাচ্ছেন, সরকারের ‘বাড়িতে থাকুন’ স্লোগান বদলে ‘সতর্ক থাকুন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করুন, প্রাণ বাঁচান’ হতে চলেছে। তবে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ক্ষেত্রে এই বদল হচ্ছে না। পরে লকডাউন তুলতে সরকারের কী পরিকল্পনা, জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় তা-ই তুলে ধরেন জনসন। বলেন, বাড়ি থেকে কাজ করা একেবারেই অসম্ভব হলে কর্মস্থলে যাওয়া চলবে। গাড়ি নিয়ে বেরোনো, পার্কে সূর্যস্নান বা শারীরচর্চাও করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী টুইটারেও লেখেন, ‘‘সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেককেই ভূমিকা নিতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে, নিয়ম মানতে হবে।’’

জার্মানির সরকারি তথ্য বলছে, লকডাউন শিথিল করতে না করতেই দেশে সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে। সেখানে শুধু সব দোকানপাটই খুলে দেওয়া হয়নি, আগামী সপ্তাহে শুরু হতে ফুটবল লিগও। তবে তার পরেও লকডাউন পুরোপুরি তোলার দাবিতে বিক্ষোভ বাড়ছে। দক্ষিণ কোরিয়াতেও সরকার বিধিনিষেধ হালকা করা মাত্র গত এক মাসের মধ্যে সংক্রমণ সর্বাধিক হয়েছে। সরকার মনে করছে, এই বছরের শেষে ফের দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ মাথা চাড়া দিতে পারে। ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে গত এক মাসের হিসেবে যা সবচেয়ে কম।

Advertisement

আরও পড়ুন: মার্কিন টাস্ক ফোর্সের শীর্ষ কর্তা নিভৃতবাসে

উত্তর-পূর্ব চিনে নতুন দফায় করোনা-সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে রবিবার জানিয়েছে প্রশাসন। দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষদ জানিয়েছে, গত কাল নতুন করে ১৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। ২৮ এপ্রিলের পর থেকে যা সর্বাধিক। আক্রান্তদের মধ্যে এক জন উহানের। এক মাসেরও বেশি সময় পরে উহান থেকে সংক্রমণের খবর মিলল। বৃহস্পতিবারই সরকারি ভাবে চিনের সব অঞ্চলকে ‘লো-রিস্ক’ বা ‘কম ঝুঁকির’ এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সংক্রমিতদের ১১ জনই জিলিন প্রদেশের শুলান শহরের বাসিন্দা হওয়ায় শহরটিকে ‘হাই রিস্ক’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লক্ষ ৫২ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৮২ হাজারের বেশি জনের। পাকিস্তানে এক দিনে সংক্রমিত হয়েছেন দু’হাজার মানুষ। স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, দেশে মোট সংক্রমিত ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। তা সত্ত্বেও শনিবার থেকে প্রথম দফায় লকডাউন শিথিল করা শুরু হয়েছে। পাক চিকিৎসকেরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী। তাঁরা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনে পাক সরকারের উচিত কড়া লকডাউন নীতি নেওয়া। এর মধ্যেই, শনিবার বালুচিস্তানের চমন প্রদেশে আফগানিস্তানের সঙ্গে তাদের সীমান্ত খুলেছে পাকিস্তান। যেখান থেকে তিন হাজার আফগান নাগরিককে নিজেদের দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: লকডাউন উঠলেও সব নিয়ম মেনে চলব আমরা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement