King Charles III

‘বিবিধের মাঝে মিলন’ চার্লসের রাজ্যাভিষেকে

ইংল্যান্ডের রাজা ‘সরকারি ভাবে’ ‘চার্চ অব ইংল্যান্ড’-এর প্রধান। তা ছাড়া, তাঁকে ‘ধর্মের রক্ষাকর্তা’ বলেও মান্য করা হয়। প্রথাগত ভাবে এই ‘ধর্ম’ খ্রিস্টান ধর্ম।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৩ ০৮:১৭
Share:

রাজা তৃতীয় চার্লস। ছবি: রয়টার্স।

আগামী শনিবার রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়েরা। এই প্রথম কোনও রাজ্যাভিষেকে আনুষ্ঠানিক ভূমিকা পালন করবেন অ-খ্রিস্টানরা। আধুনিক ব্রিটেন যে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষের দেশ, তা তুলে ধরতেই অনুষ্ঠানটিকে বিশেষ ভাবে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন চার্লস।

Advertisement

ইংল্যান্ডের রাজা ‘সরকারি ভাবে’ ‘চার্চ অব ইংল্যান্ড’-এর প্রধান। তা ছাড়া, তাঁকে ‘ধর্মের রক্ষাকর্তা’ বলেও মান্য করা হয়। প্রথাগত ভাবে এই ‘ধর্ম’ খ্রিস্টান ধর্ম। কিন্তু চার্লস বরাবরই বলে এসেছেন, তিনি ‘সব ধর্মের রক্ষাকর্তা’ হিসেবেই পরিচিত হতে চান। তাই অভিষেক অনুষ্ঠানে চার্লস বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বাকিংহাম প্রাসাদ সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানটি যাঁর পৌরহিত্যে হবে, সেই আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবেরি রেভারেন্ড জাস্টিন ওয়েলবির সঙ্গে আলোচনা করেই অনুষ্ঠানটি এ ভাবে সাজানো হয়েছে। রাজ্যাভিষেক মূলত খ্রিস্টীয় রীতি মেনে হলেও এ বার বিভিন্ন ধর্মের উপস্থিতি এই অনুষ্ঠানকে বিশেষ মাত্রা দেবে বলে ঘনিষ্ঠ মহলে আশা প্রকাশ করেছেন চার্লস।

শনিবারের অনুষ্ঠানে বাইবেল থেকে পাঠ করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। এর আগে সব সময়ে এই কাজটি করে এসেছেন কোনও এক বিশপ। প্রসঙ্গত সুনক ভারতীয় ব‌ংশোদ্ভূত হিন্দু। অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ অংশে রাজার হাতে ‘রাজকীয়’ কিছু দ্রব্য তুলে দেওয়া হয়। প্রথাগত ভাবে যাজক বা রাজপরিবারের সদস্যরাই এই কাজ করে থাকেন। কিন্তু এ বারের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিন জন অ-খ্রিস্টান। ‘করোনেশন রিং’ বা অভিষেক অঙ্গুরীয় রাজার হাতে তুলে দেবেন লর্ড বাবুভাই পটেল (হিন্দু)। তার পরে, রাজাকে করোনেশন গ্লাভ বা দস্তানা দেবেন লর্ড ইন্দ্রজিৎ সিংহ (শিখ)। এঁরা দু’জনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এর পরে রাজাকে ব্রেসলেট দেবেন পাক বংশোদ্ভূত লর্ড সৈয়দ কামাল (মুসলিম)। অনুষ্ঠান শেষে, বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে সম্ভাষণ জানাবেন রাজা। তাঁদের মধ্যে থাকবেন ইহুদি, বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলিম, শিখ-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement