সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ব্যবস্থা। ছবি: এএফপি।
চিনে নোভেল করোনাভাইরাসে (২০১৯-এনসিওভি) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ১৭। সে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৩। একই রকম উপসর্গ নিয়ে বেজিংয়ের হাসপাতালে ভেন্টিলেটরে রয়েছেন ভারতীয় শিক্ষিকা প্রীতি মাহেশ্বরী। বিদেশেও রোগটা ছড়াচ্ছে দেখে সতর্ক হয়েছে ভারত। দিল্লি, মু্ম্বই, কলকাতা চেন্নাই-সহ ৭টি বিমানবন্দরে কাল থেকে শুরু হয়েছে নজরদারি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সূদন আজ জানান, এ পর্যন্ত ৪৩টি উড়ানের ৯১৫৬ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই ভাইরাসে আক্রান্ত যাত্রীর সন্ধান মেলেনি।
শুরুটা হয়েছে চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে। ওই প্রদেশেই মারা গিয়েছেন ১৭ জন। উহানে আছেন ৭০০-র বেশি ভারতীয়। তাঁদের মধ্যে ৫০০ জনই ছাত্র। চিনা নববর্ষের আগে অনেকে বাড়িতে ফিরে এলেও, বাকিরা চরম আতঙ্কে। কারণ, রোগটা ছড়াচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে। তার উপর চিনা স্বাস্থ্য কমিশনই বলছে, কেউ উহানে যাবেন না। যাঁরা উহানে রয়েছেন, তাঁরা শহর ছাড়বেন না। যদিও তাদের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের দাবি, এমন কোনও সার্বিক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। ফলে বাড়ছে বিভ্রান্তি। চিনের বিভিন্ন প্রান্তে ৪৮ হাজারের বেশি ভারতীয়ের বাস। ইতিমধ্যেই সে দেশের ১৩টি প্রদেশে ও তাইওয়ানে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ।
হংকংয়ের স্বাস্থ্যসচিব সোফিয়া চান আজ জানিয়েছেন, চিনের উহান থেকে যাওয়া এক ব্যক্তির দেহে ওই ভাইরাস মিলেছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে। এর আগে জাপানে ১ জন, তাইল্যান্ডে ৩ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১ জনের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। রবিবার আমেরিকার সিয়াটলে এক আক্রান্তকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। তিনিও উহান-ফেরত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডাভোসে বলেছেন, ‘‘আমাদের পরিকল্পনা করাই আছে। ভাল ভাবেই সামলে নেওয়া যাবে। আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সিডিসি খুবই দক্ষ। আশা করি চিনও এ ব্যাপারে ভাল অবস্থায় রয়েছে।’’ যদিও চিনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষই এ দিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রোগটা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ চিনা নববর্ষ উপলক্ষে প্রচুর মানুষ চিনে ফিরে আসছেন এই সময়ে।