বেজিং-ওয়াশিংটনের টানাপড়েন এ বার ছুঁয়ে গেল রাষ্ট্রপুঞ্জকেও—ফাইল চিত্র
করোনা আবহে বেজিং-ওয়াশিংটনের টানাপড়েন এ বার ছুঁয়ে গেল রাষ্ট্রপুঞ্জকেও। বিশেষত আমেরিকাকে নিশানায় রেখেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সব সদস্য দেশকে যার-যার বকেয়া মেটানোর আর্জি জানাল চিন। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ বাজেট এবং শান্তিরক্ষা খাতে আমেরিকার ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি বকেয়া রয়েছে বলে দাবি বেজিংয়ের। পাল্টা ওয়াশিংটনের দাবি, নিজেদের ‘কোভিড-কেলেঙ্কারি’ থেকে বিশ্বের নজর ঘোরাতেই এখন এই ধরনের কথা বলছে চিন। বরং ওয়াশিংটন কয়েক দিন আগেই শান্তিরক্ষা অভিযানে রাষ্ট্রপুঞ্জকে ৭২ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার দিয়েছে বলেও জানালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মার্কিন প্রতিনিধি।
বরাদ্দ-অনুদান নিয়ে চিন ও আমেরিকার এই তরজার শুরুটা করোনা নিয়েই। চিনের প্রতি পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে এপ্রিলের মাঝামাঝি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পাল্টা তখনই কোভিড-যুদ্ধে হু-র পাশে দাঁড়াতে ৩ কোটি ডলার অনুদান বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল বেজিং। ঘটনাচক্রে আমেরিকাও এ বার আংশিক অনুদানে রাজি হয়েছে বলে গত কাল জানিয়েছে এক মার্কিন সংবাদমাধ্যম। তবে আগের মতো আর ৪০ কোটি ডলার নয়। চিনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হু-কে আপাতত এর দশ ভাগের এক ভাগ দিতে রাজি হয়েছে আমেরিকা।
তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের পাওনায় ওয়াশিংটন এখনও পর্যন্ত হাত দেওয়ার কথা ভাবেনি বলেই সূত্রের খবর। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ বাজেটের ২২ শতাংশ এবং শান্তিরক্ষা অভিযানের ২৫ শতাংশ খরচ বহন করে আমেরিকা। ট্রাম্পের দেশে আর্থিক বছরের হিসেব অক্টোবর থেকে অক্টোবরের। চলতি অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সব পাওনা মেটানো হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের দফতর থেকে সম্প্রতি যে রিপোর্ট মিলেছে, তাতে ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে চিন-সহ ৫০টি দেশ রাষ্ট্রপুঞ্জের পাওনা মিটিয়ে দিয়েছে।