—প্রতীকী চিত্র।
মানব পাচারের অভিযোগে ফ্রান্সে যে বিমানটি আটক করা হয়েছে তাতে বেশ কয়েকটি শিশু-সহ ৩০৩ জন ভারতীয় রয়েছে বলে দাবি ফরাসি সংবাদমাধ্যমের। জ্বালানি ভরতে ভ্যাট্রি বিমানবন্দরে নেমেছিল নিকারাগুয়াগামী চার্টার্ড বিমানটি। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে ভারতীয় দূতাবাস। ইতিমধ্যেই দূতাবাসকে ‘কনসুলার অ্যাকসেস’ দিয়েছে ফ্রান্স। দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ফরাসি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আজ রাতে ফরাসি বিচারবিভাগ সূত্রে খবর মিলেছে, আটক ৩০৩ জন ভারতীয়ের অধিকাংশই সোমবার মুক্তি পাবেন।
ফরাসি আইন অনুযায়ী বিদেশি নাগরিককে প্রাথমিক ভাবে চার দিন আটকে রাখতে পারে ফরাসি পুলিশ। বিচারকের অনুমতিসাপেক্ষে তা আট দিন পর্যন্ত বাড়ানো যায়। বিশেষ পরিস্থিতিতে এই সময়সীমা বর্ধিত করা যায় ২৬ দিন পর্যন্ত। শীঘ্রই মামলাটি আদালতে তোলা হবে। ফ্রান্সে আটক বিমানের ৩০৩ জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন চার জন বিচারক। যাত্রীদের আটক থাকার মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ২ দিন সময় পাবেন তাঁরা। দোভাষীর মাধ্যমে যাত্রীদের বক্তব্য জানছেন বিচারকেরা।
সংবাদ সংস্থা এএফপি-র দাবি আটকে পড়া ভারতীয়দের মধ্যে অন্তত ১০ জন ফ্রান্সে আশ্রয় চেয়েছেন। ছ’জন অপ্রাপ্তবয়স্কও সে দেশে থাকার আবেদন জানান। আটকে পড়া ভারতীয়দের অস্থায়ী শয্যা এবং শৌচালয় ও স্নানের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ভ্যাট্রি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁদের খাওয়ার বন্দোবস্তও করেছেন।
এ দিকে আটকে রাখা রোমানিয়ার বিমান সংস্থা লেজেন্ড এয়ারলাইন্স গোটা ঘটনায় অসন্তুষ্ট। তাদের দাবি, ওই উড়ানে শুধুমাত্র যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছিল তারা। মানব পাচার হচ্ছিল কি না, সেই বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ফরাসি সরকার কোনও পদক্ষেপ করলে পাল্টা আইননি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ওই সংস্থার আইনজীবী।