খলিস্তানি নেতা অবতার সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
লন্ডনের খলিস্তান লিবারেশন ফোর্স (কেএলএফ)-এর প্রধান এবং খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহের ঘনিষ্ঠ অবতার সিংহ খান্ডার মৃত্যু হল লন্ডনে। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিলেন অবতার। যদিও তাঁর সমর্থকদের দাবি, বিষ প্রয়োগ করে খুন করা হয়েছে অবতারকে।
গত ১৯ মার্চ লন্ডনের ব্রিটিশ হাইকমিশনের বাইরে ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ এবং ভারতীয় পতাকা টেনে নামানোর ঘটনায় মূলচক্রী ছিলেন তিনি। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাও (এনআইএ) এই ঘটনায় খান্ডা-সহ চার জনকে চিহ্নিত করে। শুধু তাই-ই নয়, অভিযোগ ৩৭ দিন ধরে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে বেড়ানোয় অমৃতপালকে সাহায্য করেছিলেন খান্ডা।
খলিস্তানি নেতা হিসাবে পরিচয় ছাড়াও খান্ডার আরও একটি পরিচয় রয়েছে। বোমা বানাতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন এই কেএলএফ নেতা। খান্ডার বাবা কুলবন্ত সিংহও ছিলেন কেএলএফ জঙ্গি। ২০০৭ সালে পড়াশোনার জন্য ব্রিটেনে যান খান্ডা। ২০১২ সালে সেখানকারই একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই হয় তাঁর। সেখান থেকেই গোপনে কেএলএফ সংগঠনকে ‘রনজোধ সিংহ’ পরিচয়ে চালাতেন খান্ডা। ২০২০ সালে পাকিস্তানে কেএলএফ প্রধান হরমিত সিংহের হত্যার পর, সংগঠনের দায়িত্ব নেন খান্ডা।
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিচ্ছিন্নতাবাদী আদর্শে যুবসম্প্রদায়কে অনুপ্রাণিত করা, সংগঠনে যোগ এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করতেন খান্ডা। ২০১৫ সালে ব্রিটিশ সরকারের হাতে খান্ডার নাম তুলে দিয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু তার পরেও ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন এই কেএলএফ নেতা। ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, খলিস্তানি নেতা দীপ সিধুর মৃত্যুর পর ‘পঞ্জাব ওয়ারিস দে’ সংগঠনের দায়িত্বে অমৃতপালকে আনার নেপথ্যে হাত ছিল খান্ডারই।