বন্যায় বিপর্যস্ত চিনের রাজধানী বেজিং। ছবি: রয়টার্স।
ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ‘ডোকসুরি’র দাপটে কার্যত লন্ডভন্ড অবস্থা চিনের রাজধানী বেজিংয়ে। প্রবল বৃষ্টিতে বেজিং তো বটেই সংলগ্ন হেবেই প্রদেশেও বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বেজিং এবং আশপাশের এলাকা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে এই সংখ্যাটা ১৫ বলে ধরা হয়েছিল। তবে বন্যা বিপর্যস্ত এলাকায় অনেক মানুষের সন্ধান এখনও পর্যন্ত না পাওয়া যাওয়ায়, এই সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত শনিবার থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত শুধু বেজিং শহরেই ৭৪৪.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সে দেশের হাওয়া অফিসের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৪০ বছরের ইতিহাসে দেশে এত পরিমাণ বৃষ্টি আগে কখনও হয়নি। একটানা ভারী বৃষ্টিতে বেজিংয়ের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলই চলে গিয়েছে জলের তলায়। উদ্ধারকারী দল লাইফ জ্যাকেট এবং বোটের মাধ্যমে উদ্ধারকাজে নেমেছে।
বৃষ্টির তোড়ে রাজধানী শহরের বেশ কিছু জলের পাইপও ফেটে গিয়েছে। সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে অনেক বাসিন্দাই সেই পাইপলাইনের জল খাচ্ছেন না। ফলে জলসঙ্কটও তৈরি হয়েছে বেজিংয়ের নানা অংশে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্তত ২৬ জন বাসিন্দা বন্যার জলে ভেসে গিয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করতে রাতেও আলো জ্বালিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। হেবেই প্রদেশের ছোট শহর ঝাউঝাউ বন্যায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হেবেই প্রদেশের প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৮ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।