তাইওয়ান প্রণালীতে এখনও চলছে চিনা যুদ্ধবিমানের তৎপরতা। ছবি: রয়টার্স।
দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বিরাম নেই আকাশসীমা লঙ্ঘনের। তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অভিযোগ, গত ২৪ ঘণ্টায় আটটি চিনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা লঙ্ঘন করেছে। তার মধ্যে রয়েছে চারটি বোমারু বিমান জেএইচ-৭। দু’টি করে সুখোই-৩০ এবং জে-১১ যুদ্ধবিমানও তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বনির্দিষ্ট সীমারেখা অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে তাইপেই।
ঘোষিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। চিনা যুদ্ধবিমান এবং রণতরীর ভয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে বাণিজ্যিক উড়ান এবং নৌচলাচল কার্যত বন্ধ। তাইওয়ানের দাবি, তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন ৫টি চিনা যুদ্ধজাহাজ এবং ২১টি যুদ্ধবিমানের গতিবিধি তাদের নজরে রয়েছে।
চিনা বিমানবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী ‘স্টেলথ এয়ার সুপিরিওরিটি ফাইটার’ জে-২০ যুদ্ধবিমানও তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন করা হয়েছে বলে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের খবর। তার মোকাবিলায় আমেরিকায় তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-১৬ভি মোতায়েন করেছে তাইওয়ানও। চিনা নৌবাহিনীর তরফে তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন জলযানগুলির মধ্যে রয়েছে ‘অ্যাম্ফিবিয়ান ল্যান্ডিং ভেহিকল’ও। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ তাইওয়ানে দ্রুত সেনা অবতরণের উদ্দেশ্যেই এই পরিকল্পনা বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
চলতি মাসের গোড়ায় আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনার স্ফুলিঙ্গ ছড়াতে শুরু করেছিল, এখনও তার আঁচ নেভেনি। তাইওয়ান প্রণালী-সহ দক্ষিণ চিন সাগরের বিভিন্ন অংশে চিনা রণতরীর পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ডুবোজাহাজের ‘তৎপরতার’ অভিযোগও উঠেছে ইতিমধ্যে।