করোনা-বৃদ্ধিতে আবার লকডাউনের পথে চিনের একাধিক প্রদেশ। ফাইল ছবি।
হু-হু করে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা বাড়ছে চিনে। দৈনিক সংক্রমণেও রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। দু’বছর আগে করোনার প্রথম স্ফীতির পর এক দিনে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হল চিনে। রবিবার চিনের স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,১৪৬ জন।
চিনের স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে, উপসর্গহীন করোনা রোগীর সংখ্যাই তুলনামূলক বেশি। শনিবার ১,৪৫৫ জন মানুষের শরীরে করোনার উপসর্গ মিলিছে। বাকি ১১,৬৯১ জনই ছিলেন উপসর্গহীন। লাগামছাড়া এই সংক্রমণের জন্য ওমিক্রন রূপকেই দায়ী করা হচ্ছে। চিনের কয়েকটি প্রদেশে কার্যত লকডাউন শুরু হয়েছে।
চিনের অর্থনৈতিক কেন্দ্র সাংহাই এখন করোনার অন্যতম এপিসেন্টার। রবিবারের তথ্য অনুযায়ী, সাংহাইয়ে এক দিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজারের বেশি মানুষ। যা দেশের মোট সংক্রামিতের প্রায় ৭০ ভাগ। এমতাবস্থায় শহরের প্রায় আড়াই কোটি মানুষকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু হঠাৎ করে এমন ঘোষণায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, চার দিন গণ পরীক্ষার জন্য সবাইকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছিল সাংহাই প্রশাসন। কিন্তু সেই কাজ শেষ হওয়ার পর পরই জানিয়ে দেওয়া আপাতত এক সপ্তাহ সবাইকে বাড়িতে বন্দি থাকতে হবে। সাংহাইয়ের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। যান চলাচলেও জারি হয়েছে কড়াকড়়ি। এর ফলে পণ্য পরিবহণেও প্রভাব পড়ছে।
কিছু দিন আগে চিন সরকার জানিয়েছিল আর লকডাউনের পথে তারা হাঁটবে না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রদেশেই লকডাউন কার্যকর হয়েছে। এমনকি পোষ্যকে নিয়ে বাড়ির বাইরে পায়চারিও বারণ।