চিনে পা রাখলেই পর্যটকদের ৫ দিনের বাধ্যতামূলক নিভৃতবাসে থাকতে হয়। প্রতীকী ছবি।
লকডাউন এবং আমজনতার কোভিড পরীক্ষার মতো সুরক্ষাকবচ ওঠানোর পর এ বার কি পর্যটকদের নিভৃতবাসের সময়েও কাটছাঁট করবে চিন? শি জিনপিংয়ের দেশের বিদেশ মন্ত্রক থেকে মঙ্গলবার তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির।
চিনের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং এ নিয়ে সদর্থক মন্তব্য করেছেন। অন্য দিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী ছেংদুর যে সমস্ত হোটেলে পর্যটকদের ৫ দিনের জন্য নিভৃতবাসে রাখা হত, তার সময় কমিয়ে ২ দিন করা হয়েছে। যদিও এ নিয়ে সরকারি ভাবে ঘোষণা করেনি ছেংদু প্রশাসন।
ছেংদুর মতো চিনের অন্যান্য প্রদেশও কি একই পথে এগোবে? গ্লোবাল টাইমস-কে এর সরাসরি জবাব না দিলেও মাও বলেছেন, ‘‘বিশ্ব জুড়ে শিল্পক্ষেত্র এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আমাদের ভিসা নীতিতে কার্যকর ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক উ়ডানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, চিনে পা রাখলেই পর্যটকদের ৫ দিনের বাধ্যতামূলক নিভৃতবাসে থাকতে হয়। কোনও হোটেলে বা হাসপাতালে ওই সময় কাটানোর পর তাঁদের দু’দিনের গৃহ নিভৃতবাসও জরুরি। সম্প্রতি চিন জুড়ে কোভিডের বাড়বাড়ন্তে পর্যটকদের উপরে কড়াকড়ি হবে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে ঘটনাচক্রে সে পথে এগোয়নি চিন সরকার। অন্য দিকে, কোভিড-শূন্য নীতিও শিথিল করেছে তারা। অথচ গত কয়েক দিনে চিনের হাসপাতালগুলিতে আক্রান্তদের ভিড় বেড়েছে। তবে সরকারি হিসাবে মঙ্গলবার ৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে চিন।