শেষ সপ্তাহ জুড়ে চিনের ১১টি প্রদেশে স্থানীয় সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ছবি: এপি
নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে চিনে। শেষ সপ্তাহ জুড়ে চিনের ১১টি প্রদেশে স্থানীয় সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যা মূলত ছড়িয়েছে পর্যটক দলের মধ্যে থেকে। এমন মোট ১৩টি পর্যটক দলকে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। ১০০ জন রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা স্থানীয় সংক্রমণের কারণে আক্রান্ত হয়েছেন। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র মি ফেং বলেছেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’’ সেই কারণেই সমস্ত পর্যটন সংস্থাকে প্রদেশ ভিত্তিক বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করতে বলা হয়েছে। পর্যটন স্থানগুলিতেও যাতে পর্যটকরা না আসেন, সেই বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করতে বলা হয়েছে।
অন্য দিকে করোনা সংক্রমণে বিপর্যস্ত রাশিয়া। রবিবার করোনা সংক্রমণ পৌঁছে গিয়েছিল ৩৭ হাজারের কাছাকাছি, সামান্য কমে সেই দৈনিক সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৬৬০-এ। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে এক হাজার ৭২-এ। খারাপ অবস্থা রুশ রাজধানী মস্কো-র। সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৭৯। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহ থেকেই রাশিয়ার বিভিন্ন অংশে লকডাউন আরোপ করা হতে পারে। বিশেষত সেন্ট পিটার্সবার্গে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত লকডাউন চলবে। এ ছাড়া পূর্ব ইউরোপের আরও দু’টি দেশ ইউক্রেন ও রোমানিয়ায় সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ইউক্রেনে দৈনিক মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৩৮৬ অন্য দিকে রোমানিয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮১। গোটা ইউরোপে এই তিনটি দেশ সংক্রমণের দিক থেকে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে।
ব্রিটেনেও করোনা সংক্রমণ চিন্তা বাড়িয়েছে প্রশাসনের। যদিও সেখানে মৃতের সংখ্যা সংক্রমণের তুলনায় কম। রবিবারের হিসাব অনুসারে দৈনিক সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৯৬২। দৈনিক মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২। সে দেশে আক্রান্তের মধ্যে মোট আট হাজার ২৩৮ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।