পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে চিন। ছবি: রয়টার্স।
পরমাণু অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করছে চিন। ২০৩০-এর মধ্যেই এক হাজার পরমাণু অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তারা। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে পেন্টাগন।
দীর্ঘ দিন ধরেই একটু একটু করে নিজেদের অস্ত্রভান্ডারের শক্তি বাড়াচ্ছে চিন। কিন্তু যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তারা এগোচ্ছে তাতে বিশ্বের অন্য দেশগুলির দুশ্চিন্তা বাড়ছে। পেন্টাগনের ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেনার পাশাপাশি নৌ, বিমানবাহিনীকেও পরমাণু শক্তিধর করার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে বেজিং।
২০২০-তে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর যে তথ্য দিয়েছিল সেখানে বলা হয়েছিল ২০৩০-এর মধ্যে ৪০০টি পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হবে চিন। কিন্তু তাদের সেই ধারণাকে একেবারে ভুল প্রমাণিত করেছে এ বছরের রিপোর্ট। ৪০০ নয়, চিন এক হাজার পরমাণু অস্ত্রের ক্ষমতাসম্পন্ন দেশ হতে হতে চলেছে আর মাত্র ন’বছরের মধ্যে।
পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার জন্য যে ভিত্তি দরকার, জলে-স্থলে সেই নির্মাণকাজও শুরু করেছে তারা। সমুদ্র এবং আকাশ থেকে যাতে সহজেই পরমাণু হামলা চালানো যায় তারও কাজ শুরু করে দিয়েছে চিন। এমনিতেই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের সঙ্গে একটা টানাপড়েনের আবহ তৈরি হয়েছে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের মতো দেশগুলির সঙ্গে। অন্য দিকে দক্ষিণ চিন সাগরেও আমেরিকার সঙ্গে চিনের একটা ঠান্ডা যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাইওয়ানকে ঘিরে যে ভাবে দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ পরস্পরের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাচ্ছে তা নিয়ে ওই অঞ্চলে একটা উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এমন একটা আবহে চিনের অস্ত্রভান্ডারের তথ্য প্রকাশ্যে আসায় আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।