নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড। ফাইল ছবি।
ভারত পা বাড়ানোর আগেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে চিন। পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারত এবং চিনের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছিল বলেই দাবি কূটনৈতিক শিবিরের। অতি দ্রুত তাঁর সঙ্গে প্রথম বৈঠকটি করার জন্য তাই তৎপর সাউথ ব্লক। কিন্তুতারই মধ্যে নেপালে নিজেদের ভূকৌশলগত গুরুত্ব এবং সংযোগ বাড়াতে পদক্ষেপ করেছে চিন। নেপাল এবং চিনের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত রেলপথের থমকে থাকা প্রকল্পকে আবার জাগিয়ে তোলা হচ্ছে। এই রেল সংযোগ এমনিতেই ভারতের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের চিন্তার কারণ।
বেজিং একটি কারিগরি দলকে কাঠমান্ডু পাঠিয়ে দিয়েছে। তারা নেপালের রাজধানী থেকে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পর্যন্ত রেল প্রকল্পের বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিকগুলি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করছে। পাশাপাশি তিন বছর বন্ধ থাকার পর নেপাল থেকে রাসুওয়াগড়ি-কেরুং সীমান্ত দিয়ে পণ্য চিনে আসার বিষয়টিতে অমুমতি দিয়েছে বেজিং। গত রবিবার প্রচণ্ড পোখরা আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই বিমানবন্দরটি বানিয়ে দিয়েছে চিন। নেপালে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত ওয়াং শিং একটি টুইট করে জানিয়েছেন, এই পোখরা বিমানবন্দর চিন-নেপাল সহযোগিতার একটি অন্যতম প্রকল্পই শুধু নয়, এটি চিনের মহাযোগাযোগ প্রকল্প ওবর-এর অন্তর্গতও বটে।
১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত অতি বাম চরমপন্থার নেতৃত্ব দেওয়া প্রচণ্ডের সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। ২০০৮-এ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে প্রথম সরকারি সফরটি তিনি বেজিংয়ে করেন। সেটি ছিল ঐতিহ্য ভাঙা, কারণ তার আগের ৫০ বছরে তাঁর সবপূর্বসূরি আসনে বসার পরে প্রথম গন্তব্য হিসেবে ভারতকেই বেছে নিয়েছিলেন। তবে ২০১৬ সালে দ্বিতীয় দফায় প্রচণ্ড প্রধানমন্ত্রী হওয়ারপরে প্রথম সরকারি সফরেনয়াদিল্লিতেই এসেছিলেন।