ফাইল ছবি
ভারতের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিন তাদের সামরিক অবস্থান ক্রমশ দৃঢ় করছে বলে ফের উদ্বেগ জানাল আমেরিকা। দিন কয়েক আগেই প্যাংগং লেকের কাছে চিনের পরিকাঠামো নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল আমেরিকা। এ বারে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘শাঙ্গরি লা ডায়লগ’-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড জেমস অস্টিন জানান, দক্ষিণ চিন সাগরে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করা জায়গাগুলিতে আগ্রাসী এবং বেআইনি পদক্ষেপ করছে চিন। তাদের নৌবহরও বেআইনি ভাবে এলাকা দখলে সক্রিয় হচ্ছে। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমেও আমরা দেখছি, ভারতের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় বেজিং তাদের অবস্থান ক্রমশ শক্ত করছে।’’
দিন কয়েক আগেই তাইওয়ান নিয়ে হুঙ্কার ছেড়ে চিন জানিয়েছিল, তারা প্রয়োজনে যুদ্ধে নামতেও দ্বিধা করবে না। চিনের আগ্রাসী মনোভাবের তীব্র নিন্দা করেছে পশ্চিমের দেশগুলি। পাশাপাশি চিন যে ভাবে ভারতের সীমান্তে পরিকাঠামো ও সেনা সরবরাহ বাড়াচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন তারা। তবে অস্টিন জানিয়ে দিয়েছেন, বন্ধু দেশগুলির পাশে থাকবে আমেরিকা।
২০২০ সালের মে মাস থেকেই লাদাখ সীমান্তে চিন তাদের সেনা সমাবেশ বাড়িয়েছে। সে বছরই জুন মাসে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনের সেনাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। তার পরেও ওই এলাকায় চিনের সেনা তাদের নিয়ন্ত্রণ ক্রমশই বাড়িয়েছে। বিরোধী নেতাদের অভিযোগ, ভারতের একাধিক পোস্ট চিনা সেনার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় ভারতীয় সেনাকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বেশ কয়েক বার বৈঠক হলেও তাতে সুরাহা হয়নি। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার অবশ্য আগাগোড়াই চিনের এই আগ্রাসন নিয়ে নীরব রয়েছে।
এ দিকে লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল সীমান্তেও তারা সেতু, সড়ক তৈরি করে পরিকাঠামো মজবুত করছে। আমেরিকা ভারতকে এ নিয়ে সতর্ক করার পরে বিষয়টি নিয়ে ‘আমরা লক্ষ্য রাখছি’ জাতীয় মন্তব্যের বেশি কিছু করেনি বিদেশ মন্ত্রক। আমেরিকা মনে করে, চিন যে ভাবে ভারতের চারপাশে নিজেদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, তা নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগের ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।