চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। —ফাইল চিত্র
চিন-বিরোধী বিক্ষোভে গত বছর উত্তাল ছিল হংকং। সার্বভৌমত্ব ও স্বায়ত্ত শাসনের দাবিতে পথে নেমেছিলেন হাজার হাজার হংকংবাসী। এ বার বিশেষ প্রশাসনিক এই অঞ্চলের উপরে নিজেদের রাশ শক্ত করতে চিনের পার্লামেন্টে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ হয়েছে। অনেকেরই দাবি, এই আইন পাশ করিয়ে প্রকারান্তরে হংকংবাসীর প্রতিবাদী কণ্ঠ চিরদিনের জন্য রুদ্ধ করতে চাইছে চিনের কমিউনিস্ট সরকার। বেজিংয়ের অবশ্য দাবি, হংকংয়ের সাধারণ মানুষ যাতে আইনের নিয়ন্ত্রণে সুরক্ষিত থাকেন, সেই ব্যবস্থা করতেই নতুন আইনের খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।
গত বছর প্রায় টানা সাত মাস বেজিংয়ের সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলেছিল হংকংয়ে। হংকং সরকারের (যার প্রধানকে চিনই মনোনীত করে) প্রস্তাবিত প্রত্যর্পণ বিল পেশ দিয়ে বিতর্কের শুরু। যা পরবর্তী কালে চিন-বিরোধী বিক্ষোভের রূপ নেয়। প্রবল প্রতিবাদের জেরে প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে পিছু হঠতে বাধ্য হন হংকংয়ের প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি ল্যাম। বেজিং কয়েক বার কড়া বার্তা দিলেও সে ভাবে কঠোর দমননীতি তখন নেয়নি। কিন্তু বছরের শুরুতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে সেই বিক্ষোভে ভাটা পড়েছিল খানিকটা। বন্ধ ছিল জমায়েত। চলতি মাস থেকে হংকং ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল। ফিরে আসছিল বিক্ষোভও। ঠিক তখনই চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে নতুন নিরাপত্তা আইনের প্রস্তাব এল। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) সিলমোহর পড়লেই তা আইনে পরিণত হবে।
বিষয়টি নিয়ে যে বিতর্ক হবে, তা আগেভাগেই আঁচ করেছিল বেজিং। তাই ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশের কাছে ইতিমধ্যেই এই নতুন আইন নিয়ে ডিমার্শে পাঠিয়েছে তারা। সেখানে তারা ব্যাখ্যা করেছে, সরকার-বিরোধী এই দীর্ঘ বিক্ষোভের ফলে এত দিন ধরে কী ভাবে বেজিংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছিল।