এ বার তাইওয়ান দখলের পরিকল্পনা চিনা ফৌজের। ছবি: রয়টার্স।
জাপানে চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াডের শীর্ষবৈঠক চলাকালীনই সামনে এল তাইওয়ান দখলের চিনা পরিকল্পনা! একটি চ্যানেলে ফাঁস হওয়া অডিয়োয় (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি) একদলীয় চিনের শাসক কমিউনিস্ট পার্টি এবং সে দেশের সেনাকর্তাদের তাইওয়ান দখলের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে শোনা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের দাবি, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির এক নেতা অডিয়োটি ফাঁস করেছেন।
গুয়াংদং প্রদেশের গভর্নর, কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক, চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র মেজর জেনারেল স্তরের এক সামরিক কমান্ডারের কথোপকথনে তাইওয়ান দখলের পরিকল্পনার এসেছে। ড্রোন এবং নৌবাহিনীকে সংগঠিত করার পাশাপাশি তাইওয়ানের উপর নজরদারির কাজে একাধিক উপগ্রহ ব্যবহারের কথাও এসেছে আলোচনায়।
দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের নিকটবর্তী মূল চিনা ভূখণ্ড গুয়াংদং প্রদেশকে ভিত্তি করেই পিএলএ সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি চালাচ্ছে বলেও কমিউনিস্ট পার্টি এবং চিনা সেনার আধিকারিকদের আলোচনার ফাঁস হওয়া অডিয়ো থেকে জানা যাচ্ছে। গুয়াংদং প্রদেশে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার সেনা, যুদ্ধজাহাজ-সহ বিভিন্ন ধরনের ৯৫৩টি জলযান, বিপুল পরিমাণে সামরিক সরঞ্জাম এবং জ্বালানি তেল মজুত করা হয়েছে বলে ওই আলোচনা থেকে জানা যাচ্ছে।
ওই অডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরে সোমবার টোকিয়োয় কোয়াড শীর্ষবৈঠকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘‘চিন হামলা করলে আমেরিকা সামরিক ভাবে তাইওয়ানকে রক্ষা করবে।’’ প্রসঙ্গত, ওই বৈঠকে বাইডেনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন।
গত কয়েক মাস ধরেই তাইওয়ানের উপর প্রতিনিয়ত চাপ বাড়াচ্ছে চিন। হামলার হুমকির পাশাপাশি ধারাবাহিক ভাবে চলছে আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা। স্বশাসিত তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন অঞ্চল বলেই মনে করে। যদিও তারা এখনও চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেনি। অন্য দিকে বেজিংয়ের দাবি, তাইওয়ান অবিচ্ছেদ্য চিনের অংশ। চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংও একাধিক বার তাইওয়ানকে ‘সংযুক্ত করার’ নীতির কথা ঘোষণা করেছেন।