হগ হোটেলের ভিতর। ছবি—রয়টার্স।
১৩ তলার সুবিশাল অট্টালিকা। নাম তার হগ হোটেল। তবে চাইলেই ঢুকে পড়া যাবে না সেখানে। সিসিটিভি ক্যামেরায় মোড়া সেই বহুতলে জৈবিক সুরক্ষাও রয়েছে বিস্তর। ১০ হাজারেরও বেশি শুয়োর থাকে এই হোটেলে। শুয়োরদের এই ‘হোটেল’ রয়েছে চিনের দক্ষিণাংশে।
মুয়ুয়ান ফুডস এবং নিউ হগ গ্রুপ নামের দুই সংস্থা মিলে গড়ে তুলেছে বহুতলটি। এর ভিতর শুয়োরদের থাকা-খাওয়া ছাড়াও রয়েছে পশুদের অত্যাধুনিক চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা।
শুয়োরদের থাকার নতুন হোটেল। ছবি—রয়টার্স।
করোনাভাইরাস অতিমারির আগে সোয়াইন ফ্লু থাবা বসিয়েছিল চিনে। সে যাত্রায় প্রচুর শুয়োর মারা গিয়েছিল সে দেশে। তার পর থেকেই খাদ্য সুরক্ষার বিশেষ নজর দিয়েছে চিন। শুয়োরের মাংস সে দেশে খুব জনপ্রিয়। শুয়োর থেকে কোনও রোগ যাতে মানুষের মধ্যে না ছড়ায় সে জন্যই শুয়োরদের আলাদা করে রাখার এই প্রয়াস নিয়েছে চিন। এই হোটেল ছাড়াও নিউ হগ গ্রুপ তিনটি পাঁচতলা বাড়িও বানাচ্ছে শুয়োরদের জন্য। জৈব সুরক্ষায় সুরক্ষিত সেই তিনটি হোটেল যে এলাকা জুড়ে বানানো হয়েছে, তা প্রায় ২০টি ফুটবল মাঠের সমান।