প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। —ফাইল চিত্র
নোভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাশে থাকার কথা বলে চিনা প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার উত্তরে ভারতকে ধন্যবাদ দিয়ে প্রশংসা করল বেজিং। এই চিঠিই নয়াদিল্লি-বেজিং ‘বন্ধুত্বের প্রমাণ’— বলল শি চিনফিংয়ের সরকার। পাক সন্ত্রাস ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে চিন বরাবরই ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতি করোনা ইস্যুতে চিনের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
কয়েক দিন আগেই চিনের হুবেই প্রদেশে আটকে পড়া সাড়ে ছ’শো ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে এনেছে ভারত। সেই প্রক্রিয়ায় চিন পুরোপুরি সাহায্য করেছিল ভারত সরকারকে। ভারতীয়রা দেশে ফেরার পরেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংকে চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চিনের প্রশাসন তথা সরকারকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি মারণ ভাইরাস রোধে চিনকে সব রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা লিখেছিলেন মোদী।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার অনলাইন সাংবাদিক বৈঠক করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী জেং শুয়াং। সেখানে মোদীর চিঠির প্রসঙ্গ তোলেনে সাংবাদিকরা। জেং শুয়াং বলেন, ‘‘নোভেল করোনা ভাইরাস নিউমোনিয়া (ভাইরাসের সরকারি নাম) বা এনসিপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। ভারতের এই সৌহার্দ্যের বার্তা চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বের নিদর্শন।’’
আরও পড়ুন: মৃত বেড়ে ৯০০, চিনে এ বার নিখোঁজ করোনার খবর করা সাংবাদিক
চিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সোমবারই ৯০০ ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ৪০ হাজারেরও বেশি। ভারতের পাশাপাশি অনেক দেশই তাঁদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ভারত সরকার আবার চিনের নাগরিকদের ভিসা বন্ধ রেখেছে। এ প্রসঙ্গে জেং শুয়াং বলেন, ‘‘এই ভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে এবং উপমহাদেশ ও বিশ্বের সব দেশের জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ভারত-সহ আন্তর্জাতিক মহলের সব দেশের সঙ্গেই যৌথ ভাবে করতে আমরা প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ‘দাদাকে দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক’, কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ওমর আবদুল্লার বোন
আগেই আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’। এ বার চিনে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে তারা। আজ সোমবারই সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের একটি দল চিনে পৌঁছেছে। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ছড়িয়ে পড়া আটকাতে চিন প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করবেন ওই প্রতিনিধিরা।