ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করেই যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। সে দেশে সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরে, উত্তর কোরিয়ার কয়েক জনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। এ ব্যাপারে তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের সমর্থনও চাইছিল। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্রের খবর, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় সেই প্রস্তাবে রুখে দাঁড়ায় চিন ও রাশিয়া।
বছরের শুরুতেই কয়েক দিনের ব্যবধানে চারটি ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। তার মধ্যে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ট্রেন থেকে। বাইডেন প্রশাসন গত সপ্তাহেই এর সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করে উত্তর কোরিয়ার পাঁচ জনের উপরে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে।
আমেরিকার অভিযোগ, চো মিয়ং হিয়ন নামে উত্তর কোরিয়ার এক জন রাশিয়ায় রয়েছেন এবং নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা উত্তর কোরিয়ার সেকেন্ড অ্যাকাডেমি অব ন্যাচরাল সায়েন্সেসকে (এসএএনএস) সাহায্য করে চলেছেন।
একটি যৌথ বিবৃতিতে জাপান, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বলেছে, ‘‘এই উৎক্ষেপণগুলি থেকেই স্পষ্ট, শাসকেরা যে কোনও মূল্যে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।’’
বেজিং ও মস্কো দীর্ঘদিন ধরে উত্তর কোরিয়ার উপরে চাপ বাড়ানোর বিরোধিতা করে আসছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রক এ যাত্রা জোর দিয়েছে, ‘চোখ-কান বন্ধ করে নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটার’ কোনও নজির নেই বলে। তাদের দাবি, ‘‘চাপ দিলে উপদ্বীপের সমস্যা সমাধানের বদলে আখেরে উত্তেজনাই আরও বাড়বে।’’
কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রসঙ্গে ২০১৯ সালে কিমের সরকার এবং আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল। কিম ব্যালিস্টিক এবং হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। বাইডেন প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার সরকারের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কিমের দিক থেকে তা কাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।