Treadmill Incident

ছ’বছরের ছেলে ‘বড্ড মোটা’, জোর করে ট্রেডমিলে হাঁটালেন বাবা, কয়েক দিনেই মৃত্যু!

আমেরিকার নিউ জার্সি শহরের এক যুবকের বিরুদ্ধে তাঁর সন্তানকে জোর করে ট্রেডমিলে হাঁটানোর অভিযোগ উঠেছে। সাধ্যের বাইরে পরিশ্রম করায় শিশুটির শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৪ ১৭:২১
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

ছ’বছরের শিশুকে ওজন কমাতে জোর করে ট্রেডমিলে হাঁটালেন বাবা। যার জেরে কয়েক দিনের মধ্যেই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। মৃত্যু হয় তার। শিশুটির বাবার বক্তব্য ছিল, তাঁর ছেলের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গিয়েছে। সে মোটা হয়ে গিয়েছে। তাই ওজন কমাতে শারীরিক পরিশ্রম প্রয়োজন।

Advertisement

ঘটনাটি আমেরিকার নিউ জার্সি শহরের। ২০২১ সালে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। তাকে দিয়ে অমানুষিক পরিশ্রম করানোর অভিযোগে তার বাবার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়। সেই মামলার সূত্রেই সম্প্রতি পুরনো ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কী ভাবে ট্রেডমিলে জোর করে হাঁটতে বাধ্য করা হচ্ছে শিশুটিকে।

এর পর ওই শিশু ‘ক্রনিক অ্যাবিউস’-এ আক্রান্ত হয় এবং হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ক্রিস্টোফার গ্রেগর। তাঁর ছ’বছরের সন্তান কোরি মিসিয়োলোর মৃত্যু হয় বছর তিনেক আগে। ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বাবা জোর করে শিশুটিকে ট্রেডমিলে হাঁটাচ্ছেন। সে হাঁটতে পারছে না। ট্রেডমিলের গতির সঙ্গে সে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। তবু তাকে কোনও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। বার বার ট্রেডমিলের উপরে মুখ থুবড়ে পড়ে যাচ্ছে ওই শিশু। তাকে টেনে তুলছেন বাবা। তার পর আবার ঠেলে দিচ্ছেন ট্রেডমিলের দিকে। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভিডিয়োটির সত্যতা প্রমাণিত হলে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। স্বামীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন মৃত শিশুর মা। আদালতে দাঁড়িয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যও দিয়েছেন তিনি। শিশুটি মূলত তার মায়ের কাছেই থাকত। তার মা জানিয়েছেন, প্রথমে শিশুর দেহে কোথাও কোথাও আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তিনি। জিজ্ঞেস করলে জানতে পারেন, জোর করে তাকে ট্রেডমিলে হাঁটানো হয়। এর পরের দিন ঘুম থেকে উঠে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ওই শিশুর। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও চিকিৎসকেরা তাকে বাঁচাতে পারেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement