—নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ার বাঁকড়ায় তিন নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে চলল গুলি! মুখ ঢেকে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। পঞ্চায়েতের প্রধানকেও লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে, পঞ্চায়েতের প্রাক্তন এক সদস্যের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুরো ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পঞ্চায়েত কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নামানো হয়েছে র্যাফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। মুখ ঢেকে পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়ে জনা তিনেক দুষ্কৃতী। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই গুলি চালায় তারা। সরাসরি গুলি না লাগলেও এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের বাবা-সহ মোট দু’জন জখম হয়েছেন। পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি শেখকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়। প্রাণ বাঁচাতে টেবিলের তলায় লুকিয়ে পড়েন টুকটুকি। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের দখলে থাকা ওই পঞ্চায়েতের প্রধান এবং প্রাক্তন এক সদস্যের মধ্যে ঝামেলার জেরেই গুলি চলেছে। গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সাজিদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি বলেন, ‘‘আমরা অফিসের মধ্যে বসেছিলাম। আমি সই করছিলাম। তিন জন ঢোকে। আমার কথা জিজ্ঞাসা করে। তার পরেই পকেট থেকে বন্দুক বার করে গুলি চালাতে শুরু করে। আমার বাবা, কাকার গায়ে গুলি লেগেছে। আমাকেও টার্গেট করা হয়। আমি প্রাণ বাঁচাতে টেবিলের তলায় ঢুকে পড়ি। একটা বন্দুক কেড়ে নিয়েছি। প্রাক্তন সদস্য শেখ সাজিদই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ওর লোকেরাই গুলি চালিয়েছে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি।’’
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, ‘‘দুপুর ১টা নাগাদ তিন জন দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে তিন নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে পড়ে বলে শুনেছি। গুলি চলেছে। তবে সরাসরি গুলি লেগে কেউ আহত হননি। আমরা সিসিটিভি দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করব। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি না, তা এখনই বলতে পারব না। এক জনের নাম উঠে আসেছে। তবে তা তদন্তসাপেক্ষ।’’