Pakistan Election 2024

পাকিস্তানে বিশৃঙ্খলা, গণনায় দেরি নিয়ে দিকে দিকে বিক্ষোভ, আদালতে গেলেন ‘ইমরানের’ নির্দলেরা

পাকিস্তানে মোট ২৬৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তাদের সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা ১০০টিরও বেশি আসন জিতে গিয়েছেন। তবে গণনায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩২
Share:

(বাঁ দিক থেকে) পিটিআই প্রধান ইমরান খান, পিপিপি প্রধান বিলাবল ভুট্টো এবং পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরিফ। —ফাইল চিত্র।

পাকিস্তানের নির্বাচন শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। তার পর শুক্রবার ভোরবেলা থেকে শুরু হয়েছিল গণনা। শনিবার রাতেও সেই গণনা শেষ হল না। দিকে দিকে গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মূলত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থী এবং তাঁদের সমর্থকেরা। তাঁদের অভিযোগ, ভোটগণনায় কারচুপি করে তাঁদের হারিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক প্রার্থী এই অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন।

Advertisement

পাকিস্তানে মোট ২৬৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যম ডনের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা ৯৩টি, আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৭৩টি এবং বিলাবল ভুট্টোর দল পিপিপি ৫৪টি আসনে জিতেছে। অন্যান্যরা পেয়েছে ৩৩টি আসন। জামাতের মতো কট্টরপন্থী দল তিনটি আসনে জয় পেয়েছে। সব আসনে গণনা এখনও শেষ হয়নি। ফলে স্পষ্ট করে কোনও বিজেতার নাম এখনও ঘোষণা করা যায়নি।

যদিও পাকিস্তানের কুর্সিতে কে বসতে চলেছে, তার আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে। ইমরান সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা বেশি আসন পেলেও তাঁদের দমিয়ে দিতে নওয়াজের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন বিলাবল। সে ক্ষেত্রে পিএমএল-এন পেতে পারে জামাত-সহ আরও কিছু দলের সমর্থন। নওয়াজ অন্যান্যদের সমর্থন নিয়েই জোট সরকার গঠন করতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

পিটিআই সমর্থকদের দাবি, সারা দেশে ১০০-র বেশি আসনে তাঁদের প্রার্থীরাই জিতেছেন। কিন্তু গণনায় কারচুপি চলছে তাঁদের আটকাতে। বহু কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। খোদ নওয়াজের কেন্দ্রে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীও ভোটের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে গিয়েছেন। শাহবাজ শরিফ, হামজ়া শাহবাজের জয়ের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী নির্দলেরা। মামলা হয়েছে লাহোর হাই কোর্টে। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে পুনর্নিবাচনের নির্দেশও দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।

বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটগণনায় দেরি হওয়ায় অধৈর্য হয়ে পড়ছেন সমর্থকেরা। কোথাও যান্ত্রিক গোলযোগ, কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে গণনায় দেরি হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। কয়েকটি এলাকায় আবার জঙ্গি হামলার কারণে গণনায় দেরি হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement