ছবি সংগৃহীত।
বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নানা প্রজাতির সন্ধান মিলছে। তার মধ্যে কয়েকটি প্রজাতি ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বা বিশেষ ভাবে উদ্বেগজনক, আবার কয়েকটি প্রজাতি ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইনভেস্টিগেশন’ অর্থাৎ পরীক্ষা করে দেখার মতো। কোভিড-১৯ ভাইরাসের ওই সব নতুন স্ট্রেন মূলত যে-সব দেশে দেখা যাচ্ছে, সেখানকার যাত্রীদের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই পরামর্শ মেনে কলকাতা বিমানবন্দরকেও সতর্ক থাকতে বলার পাশাপাশি চিন-সহ আরও সাতটি দেশের বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বনের কথা জানাল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
বিদেশ থাকা আসা যাত্রীদের বিষয়ে সতর্কতার বিষয়ে বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা রয়েছে। তা ছাড়াও সতর্কতার তালিকায় থাকা দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিষয়ে কী ধরনের সাবধানতা নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে আজ, মঙ্গলবার বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্যের অধিকর্তা সৌমিত্র মোহনের জারি করা ওই বৈঠকের নোটিসে জানানো হয়েছে, নতুন করে যে-সাতটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপরে নজরদারি চালাতে হবে, সেগুলি হল চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, মরিশাস, নিউজ়িল্যান্ড, জ়িম্বাবোয়ে ও বতসোয়ানা।
এ দিকে, সোমবার দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যে তিনটি বিমানে মোট ২৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৫০ ডোজ় কোভিশিল্ড এসেছে রাজ্যে। স্বাস্থ্য শিবিরের পর্যবেক্ষণ, গত ১২ জানুয়ারি থেকে টিকা আসছে রাজ্যে। এই সময়কালের মধ্যে একসঙ্গে এত টিকা এল এই প্রথম। বিমানবন্দরে কোভিশিল্ড আসার পরে তা নিয়ে যাওয়া হয় বাগবাজারের কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরে। মঙ্গল ও
বুধবার সেগুলি বিভিন্ন জেলায় বিলি করা হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এ দিন কোভিশিল্ড আসার পরে ওই টিকা এবং কোভ্যাক্সিন মিলিয়ে গোটা রাজ্যে প্রায় ৪৪ লক্ষ ডোজ় টিকা রয়েছে। স্বাস্থ্য শিবিরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘৪০-৫০ লক্ষ যা-ই থাকুক, আমাদের এক দিনে ১২ লক্ষের বেশি টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো আছে। ওই টিকায় কয়েক দিন চলবে।’’ এ ছাড়াও কেন্দ্র চলতি মাসে দু’টি প্রতিষেধক মিলিয়ে এক লক্ষ ৩৩ হাজার ডোজ় পাঠানোর কথা জানিয়েছে বলে স্বাস্থ্য শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে।