—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জার্মানির ডুসেলডর্ফ শহরে একটি বিশাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে উদ্যাপিত হয় দুর্গাপুজো। প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের মেলবন্ধনের অন্যতম সেতু এবং সঙ্গীত ও শিল্পকলা-সমৃদ্ধ এক সাংস্কৃতিক উৎসব হয়ে উঠেছে ‘ইচ্ছে’ এবং ‘আইডিজি’র এই পুজো।
এ বার পুজোর প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখনই কলকাতার হাসপাতালে ভয়াবহ একটি ঘটনা ঘটে যায়। সেই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে পুজোর প্রস্তুতির ফাঁকে আমাদের সংহতি প্রদর্শন ছিল বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। আর জি করের ঘটনা প্রবাসী ভারতীয়দের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। যার ব্যতিক্রম নন ডুসেলডর্ফের বাঙালি তথা ভারতীয়েরা। পুলিশের অনুমতি নিয়ে রাইন নদীর ধারে দু’দিন প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। বাংলা, ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় লেখা পোস্টার হাতে জড়ো হয়েছিলেন অনেকেই। নিহত চিকিৎসকের স্মরণে এখানকার একটি মন্দিরে একটি প্রার্থনা সভারও আয়োজন করা হয়।
শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য এই প্রার্থনার সুরে মিলে যায় দুর্গাপুজোর মূল বার্তা— করুণা এবং ঐক্যের মাধ্যমে প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করা। সে দিনের সেই প্রার্থনা সভায় শুধু বাঙালি নয়, ভারতীয় এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও অংশগ্রহণ করেছিলেন। যেমন, প্রতি বছরের মতো, তাঁরা অংশ নিচ্ছেন এ বারের দুর্গাপুজোতেও। মায়ের কাছে সকলের অঙ্গীকার— সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি যেন পাই।