প্রতীকী ছবি।
ব্রিটেনে পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন (প্রজাতি)-এর প্রতিষেধক তৈরি করতে মাত্র ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে দাবি করল জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক। আমেরিকার করোনা টিকা নির্মাতা সংস্থা ফাইজারের সহযোগী বায়োএনটেক কর্তৃপক্ষের দাবি, ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা উগুর শাহিন মঙ্গলবার বলেন, ‘‘প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পরে মনে করছি, আমাদের তৈরি করোনা টিকা ব্রিটেনে পাওয়া নতুন ভাইরাস প্রজাতির সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম। তবুও যদি প্রয়োজন হয়, আমরা ৬ সপ্তাহের মধ্যেই নতুন টিকা তৈরি করে ফেলতে পারব, যা নয়া স্ট্রেনের বিরুদ্ধে নিশ্চিত ভাবেই কার্যকরী হবে।’’ উগুর জানান, প্রতিষেধক প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে তাঁরা করোনাভাইরাসের চিহ্নিত প্রজাতিগুলির রূপান্তর নকল করে সংক্রমণ প্রতিরোধের টিকা বানাতে সক্ষম।
গত মাসে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, দেশের কিছু এলাকায় করোনাভাইরাসের নতুন একটি প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে সংক্রমণের গতি আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। মূল ভাইরাসের তুলনায় করোনার নয়া প্রজাতি বি.১.১.৭-এ ২৩টি পরিবর্তন চোখে পড়েছে এখনও পর্যন্ত, যার অধিকাংশই ভাইরাসের হানায় তৈরি নতুন প্রোটিনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। করোনাভাইরাসের পুরনো স্ট্রেনটির তুলনায় নয়া ব্রিটিশ প্রজাতিটি প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। সে দেশের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক বলেছিলেন, ‘‘পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’’ তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দাবি, ‘‘নয়া ভাইরাসটি সংক্রমণের ফলে অসুস্থতা গুরুতর হতে পারে, এমন কোনও প্রমাণ নেই।’’
আরও পড়ুন: কোভিডের নয়া প্রজাতিকে কি রুখতে পারবে প্রতিষেধক? বাড়ছে উদ্বেগ
সেপ্টেম্বরে প্রথম দক্ষিণ ইংল্যান্ডে এই স্ট্রেনটির সন্ধান মিলেছিল। ডিসেম্বরে সেটি ভিইউআই-২০২০১২/০১ (২০২০ সালের ডিসেম্বরে খোঁজ পাওয়া প্রথম ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার ইনভেস্টিগেশন) হিসেবে চিহ্নিত হয়। তত দিনে ব্রিটেনের আরও কিছু এলাকায় সেটি ছড়িয়ে পড়েছে। ইটালিতেও নয়া প্রজাতির করোনাভাইরাস সংক্রমণের একটি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্রিটেন থেকে ইটালিতে গিয়েছিলেন। বিপদের আঁচ পেয়ে ইতিমধ্যেই ভারত, কানাডা, সৌদি আরব এবং বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ব্রিটেনে যাতায়াতকারী উড়ানের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি, আতঙ্ক না ছড়াতে আর্জি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর