লিজ় জমানার অনেক মন্ত্রীকে সরালেও ঋষি ফিরিয়েছেন সুয়েলাকে। ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই একাধিক মন্ত্রীকে ছেঁটে ফেললেও ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে সুয়েলা ব্রেভারমানকে ফিরিয়ে এনেছেন ঋষি সুনক। তাঁর এই সিদ্ধান্ত অদূর ভবিষ্যতে ভিসা নিয়ে নয়াদিল্লি-লন্ডন সঙ্ঘাত বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন ব্রিটেনের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
পাশাপাশি, ভবিষ্যতে ঋষি সরকারের ভিসা নীতি কার্যকরের পথেও সুয়েলা বাধা হতে পারেন বলে আশঙ্কা। বুধবার হাউস অফ কমন্সে বাণিজ্যমন্ত্রী গ্রেগ হ্যান্ডস জানিয়েছেন, বাণিজ্যিক ভিসা দেওয়া সংক্রান্ত চুক্তির বেশির ভাগ বিষয়েই আলোচনা শেষ হয়েছে। ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম আরও সহজ করার বিষয়ে কনজ়ারভেটিভ পার্টির সরকারের আমলে একাধিক বার সক্রিয়তা দেখা গিয়েছে। ঘটনাচক্রে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার বিরোধিতা করেছেন সুয়েলা। এ বারও তার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা রয়েছে।
ঋষির মতোই সুয়েলাও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর বাবা ছিলেন গোয়ার বাসিন্দা। মায়ের পূর্বসূরিদের বাসস্থান ছিল তামিলনাড়ু। কিন্তু কনজ়ারভেটিভ পার্টির এই নেত্রী অতীতে বহু বারই প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করেছেন। যার প্রভাব পড়েছে দ্বিপাক্ষিক কূটনীতিতে। ঋষির পূর্বসূরি লিজ় ট্রাসের সঙ্গে মতপার্থক্য এবং ই মেল বিতর্কের কারণে গত ২০ অক্টোবর ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সুয়েলা।
কিছু দিন আগে সুয়েলা ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বলেন, ‘‘ভিসার মেয়াদের চেয়ে বেশি সময় থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা ভারতীয়দের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি।’’ এর ফলে নয়াদিল্লির নিশানা হতে হয় লন্ডনকে। গত ২৮ অগস্ট এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের তপ্ত পরিবেশ নিয়ে দোষ দেন সে দেশের অভিবাসী নীতিকে। এশিয়া কাপের ওই ম্যাচের পর থেকে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল লেস্টারশায়ার এলাকা। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে সুয়েলা থাকাকালীন ভারতীয় অভিবাসীদের সুবিধা দিতে ঋষির পক্ষে পদক্ষেপ করা কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।