Rajasthan News

মৃত ঘোষণার পর চার ঘণ্টা মর্গের ফ্রিজ়ারে, সৎকারের আগে জেগে উঠল ‘লাশ’! রাজস্থানে সাসপেন্ড তিন

রাজস্থানের হাসপাতালে অচৈতন্য অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছিল যুবককে। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় মর্গে। সৎকারের আগে তিনি হঠাৎ জেগে ওঠেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০৮
Share:

রাজস্থানের হাসপাতালের মর্গে থাকার পর সৎকারের আগে জেগে উঠেছেন যুবক। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তৈরি করে ফেলা হয়েছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্টও। ‘দেহ’ রাখা হয়েছিল হাসপাতালের মর্গে। সেখান থেকে কয়েক ঘণ্টা পর শুরু হয় সৎকারের তোড়জোড়। কিন্তু তাতেই চমক। সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময়ে আচমকা জেগে ওঠেন যুবক! অর্থাৎ, তাঁর মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়। এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা তিন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

ঘটনাটি রাজস্থানের ঝুনঝুনু শহরের। যুবকের নাম রোহিতাশ। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন এবং বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় থাকতেন ‘মা সেবা সংস্থা’ নামে বেসরকারি সংস্থার একটি আবাসে। সেখানেই বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই আবাস কর্তৃপক্ষ যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করান।

ঝুনঝুনুর বিডিকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছিল যুবককে। সেখানেই কিছু ক্ষণ পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর দেহ পাঠানো হয় হাসপাতালের মর্গে।

Advertisement

যুবকের পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফলে তাঁর ‘দেহ’ ‘বেওয়ারিশ লাশ’ হিসাবে গণ্য করা হয়। অভিযোগ, ময়নাতদন্ত না করেই রিপোর্ট তৈরি করে ফেলেন চিকিৎসকেরা। রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। তার পর যুবকের ‘দেহ’ পাঠিয়ে দেওয়া হয় সৎকারের জন্য। তবে তাঁকে মৃত ঘোষণার পর অন্তত ঘণ্টা চারেক মর্গের ফ্রিজ়ারে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশের তরফেই যুবকের ‘দেহ’ সৎকারের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে যাওয়ার সময়ে আচমকা ‘লাশ’ জেগে ওঠে। যা দেখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলেই চমকে উঠেছিলেন। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে এই ঘটনায়। রাজস্থানের রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এই খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে। হাসপাতালে পাঠানো হয় জেলাশাসক এবং এক পুলিশ আধিকারিককে। খতিয়ে দেখা হয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজও।

জেলাশাসকের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ পচার-সহ দু’জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement