মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। ছবি: সংগৃহীত।
কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের পরে এ বার তেলঙ্গানার বিধায়ক কিনে বিজেপি ক্ষমতা দখলে তৎপর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। হায়দরাবাদ পুলিশ বুধবার রাতে জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি(টিআরএস)-র অন্তত ৪ জন বিধায়ককে ৫০ থেকে ১০০ কোটি করে টাকা দিয়ে কেনার পরিকল্পনা হয়েছিল।
হায়দরাবাদের পুলিশ প্রধান স্টিফেন রবীন্দ্র বলেন, ‘‘শহরের আজিজ নগর এলাকার একটি খামারবাড়ি থেকে আমরা তিন জনকে আটক করেছি। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বিধায়কদের বিপুল পরিমাণ অর্থের টোপ দিয়েছিলেন ধৃতেরা।’’ আটক ব্যক্তিরা হলেন, হরিয়ানার সতীশ শর্মা, অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতির সন্ত সিংহজি এবং তাঁর ভক্ত তথা ব্যবসায়ী নন্দকুমার। আগামী ২ নভেম্বর তেলঙ্গানায় একটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। তার আগে এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কালে ‘অপারেশন লোটাস’-এর মাধ্যমে বিজেপি বিধায়ক ভাঙিয়ে কর্নাটকে এইচডি কুমারস্বামী, মধ্যপ্রদেশে কমলনাথ, মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরেকে গদিচ্যুত করেছে। ঝাড়খণ্ডেও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের সরকারের পতন ঘটাতে বিপুল টাকা দিয়ে পদ্ম-শিবির বিধায়ক কেনার ছক কষেছিল বলে অভিযোগ। গত ৩০ জুলাই রাতে হাওড়ার পাঁচলায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ঝাড়খণ্ডগামী একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বান্ডিল বান্ডিল টাকা। সঙ্গে ছিল সোনাদানাও। ওই গাড়িতে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কও। ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই তড়িঘড়ি বিধানসভায় আস্থা প্রস্তাব পাশ করান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত।