ফাইল চিত্র।
ব্রিকসভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীরা করোনা মোকাবিলায় ১৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল গড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। গতকাল ভিডিয়ো বৈঠকে বসেন ভারত, চিন, রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিদেশমন্ত্রীরা। তহবিল গড়া ছাড়াও সেখানে বর্তমান সঙ্কটের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং বাণিজ্যিক দিকগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে খবর। যৌথ ভাবে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বৈঠকে উপস্থিত এস জয়শঙ্কর অতিমারির প্রভাবে বেকারত্ব বাড়া এবং সরবরাহে ঘাটতির কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জোর দিয়েছেন বাণিজ্য ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তার দিকে, যাতে এই বিপর্যয়ে সাধারণ মানুষের জীবন সঙ্কটে না পড়ে।’
সূত্রের খবর, বৈঠকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বেজিং জানিয়েছে, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র পাশে আরও বেশি করে দাঁড়াচ্ছে। আমেরিকা এবং ইউরোপের কিছু দেশ যখন করোনা নিয়ে হু-র ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করছে, তখন চিনের এই পাল্টা ঘোষণাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, “পারস্পরিক দোষারোপে মেতে কারও দিকে তর্জনী তোলা থেকে বিরত থাকুক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। না হলে মূল লড়াইটা থেকে ভ্রষ্ট হতে হবে। রাজনীতি করে নতুন টেনশন তৈরির সময় এটা নয়।’’ পাশাপাশি চিনের বিদেশমন্ত্রী এ-ও জানিয়েছেন, “হু-কে নির্ধারিত সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি চিন বাড়তি ২ কোটি ডলার দিয়েছিল। তার পর আবার নতুন করে ৩ কোটি ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।’’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস’-এর রিপোর্টে অবশ্য চিনের পাশাপাশি রাশিয়াকেও দুষে বলা হয়েছে, এই দুই দেশ করোনা নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করছে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভরভ বিষয়টিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই রিপোর্টে কোনও বাস্তবতা নেই। আমরা এ সবে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। পশ্চিমের বন্ধুরা সব সময়ই রাশিয়ার দিক থেকে সম্ভাব্য বিপদ নিয়ে জল্পনাকল্পনা করেন।’’