বরিস জনসন।
‘ব্রেক্সিট’ শব্দটাই এখন অতীত—৪৭ বছরের পুরনো সম্পর্ক, ইউরোপীয় জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসা নিয়ে আজ এমনটাই বার্তা দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ২০১৬-র জুলাইয়ে গণভোটের রায় নিয়ে শুরু হয় ব্রেক্সিট-কথা। বিস্তর টানাপড়েনের পরে এ বছর ৩১ জানুয়ারি সরকারি ভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে ব্রিটেন। তিন দিন পরে এই প্রথম এ নিয়ে বড়সড় বক্তৃতা দিলেন জনসন। বুঝিয়ে দিলেন, ইতিহাস আঁকড়ে পড়ে না-থেকে এ বার তিনি এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা খুঁজছেন। এমনকি গোটা বক্তৃতায় এক বারও ‘ব্রেক্সিট’ শব্দটাই উচ্চারণ করলেন না।
ইইউ-এর পাশাপাশি ২৭টি দেশের বাণিজ্যিক জোট থেকেও বেরিয়ে আসতে হয়েছে ব্রিটেনকে। জনসনের দাবি, এতে মুক্ত-বাণিজ্যের রাস্তাই আরও চওড়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমদের গন্তব্য আমরা জানি। আমাদের সামনে তো এখন খোলা মাঠ।’’ আগামী মার্চে ইইউ-এর সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে কথা শুরু হওয়ার কথা ব্রিটেনের। তবে নতুন চুক্তি করতে হলে ২৭টি দেশেরই তাতে সম্মতি প্রয়োজন। সূত্রের খবর, যাবতীয় পণ্য ও পরিষেবা নিয়ে ইইউ-এর সঙ্গে কানাডার মতো মুক্ত বাণিজ্য নীতির পথে হাঁটতে চাইছে ব্রিটেন। তবে এর বিনিময়ে ইইউ যদি তাদের উপর পুরো ‘রুল বুক’ চাপিয়ে দিতে চায়, তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে দাবি জনসন-শিবিরের।