G7

আমাজন বাঁচাতে জি-৭-এর বিপুল অর্থসাহায্য প্রত্যাখ্যান করল ব্রাজিল

বলসোনারোর চিফ অফ স্টাফ ওইক্স লরেনজনি জি-ওয়ান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এই অর্থ ইউরোপে অরণ্যায়নে কাজে লাগানো হোক।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রিয়ো ডি জেনেইরো শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৯ ১৪:৫৪
Share:

আমাজন রক্ষায় জি-৭ গোষ্ঠীর সাহায্য নেবে না ব্রাজিল। এএফপি

আমাজন অগ্নিকাণ্ডে জি৭ গোষ্ঠীর ২ কোটি ২০ লক্ষ ডলারের সাহায্য প্রস্তাব ফেরাল ব্রাজিল। শুধু ফিরিয়ে দেওয়াই নয়, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাকরেঁর প্রস্তাবের প্রত্যুত্তরে ব্রাজিলের তোপ, নিজের দেশের বিষয়ে মন দিন।

Advertisement

আমাজনের আগুনকে ‘আন্তর্জাতিক সঙ্কট’ হিসেবে বর্ণনা করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ টুইট করেন। এ বিষয়ে জি-৭ সম্মেলনে আলোচনা হওয়া উচিত বলে লেখেন তিনি। টুইটবার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের ঘর জ্বলছে।’এর পরেই জি৭ দেশগুলি অর্থনৈতিক সামগ্রী ব্রাজিলকে দিয়ে সাহায্য করার বিষয়ে একমত হয়। এরই প্রত্যুত্তরে বলসোনারোর চিফ অফ স্টাফ ওইক্স লরেনজনি জি-ওয়ান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এই অর্থ ইউরোপে অরণ্যায়নে কাজে লাগানো হোক।’’

আরও পড়ুন: চুম্বন মেলানিয়া-ট্রুডোর, মাথা নিচু ট্রাম্পের, টিপ্পনি সোশ্যাল মিডিয়ায়
আরও পড়ুন: আমাজন রক্ষায় উদ্যোগী জি-৭, ট্রাম্প উদাসীনই

Advertisement

বোলসোনারোর মুখপাত্রর আক্রমণে উঠে এসেছে গত এপ্রিল মাসে নোত্রদমের শতাব্দী প্রাচীন গির্জায় আগুনের প্রসঙ্গও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী চার্চে আগুন লাগা আটকাতে পারেননি মাকরঁ। আমাদের তিনি কী শেখাতে চাইছেন?’’

ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইনপে’-র সমীক্ষা বলছে এ বছর আমাজন বৃষ্টি-অরণ্যে ৭২,৮৪৩টি দাবানলের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। বিপন্ন ৩০ লক্ষেরও বেশি প্রজাতির গাছপালা ও বন্যপ্রাণী। নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে মহাকাশ থেকেও এই আগুন দেখা যাচ্ছে। সাড়ে ন’লক্ষ হেক্টর জমিতে এই সঙ্কট মোকাবিলা করতে প্রাথমিক ভাবে সাহায্য নিতে সম্মত হয়েছিলেন ব্রাজিলের পরিবেশ মন্ত্রী রিকার্ডো সালেস। পরে অভ্যন্তরীণ বৈঠকের পরে অনুদান প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে অনুদান প্রত্যাহারেই শুধু থেমে থাকল না বিষয়টি।

গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আগুন জ্বলছে আমাজনে। এই বৃষ্টি অরণ্যের প্রায় ৬০ শতাংশই ব্রাজিলের ভিতরে পড়ে। সোমবার ১০ লক্ষ আদিবাসীর এই বাসস্থানকে বাঁচাতে লাগাতার জল দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধবিমান থেকে। তাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি, বরং সোমবার নতুন করে আগুন ছড়িয়েছে কয়েকটি জায়গায়। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রনডোনিয়া প্রদেশের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement