অ্যাড্রিয়ানো অ্যাসিস। —ছবি : সংগৃহীত
যে বিমানকর্মী তাঁকে আটকে দিয়েছিলেন, দেননি উড়ানে চাপতে, তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন যাঁর সঙ্গে, তাঁকেই জড়িয়ে ধরলেন যাত্রী তালিকায় থাকা ওই ব্যক্তি। বার বার ধন্যবাদও জানালেন তাঁকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলে গেল পরিস্থিতি। ওই ব্যক্তি বললেন, “ভাগ্যিস নিজের কাজ করেছিলেন। উড়ানে চড়তে দেননি আমাকে!” বিষয়টি খোলসা করা যাক।
গত কাল ব্রাজ়িলে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। তবে সংখ্যটা ৬২ হতে পারত যাত্রী তালিকায় থাকা রিয়ো ডি জেনিরোর বাসিন্দা অ্যাড্রিয়ানো অ্যাসিসকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে। ক্যাসকাভেল থেকে গুয়ারুলহোস যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করতে দেরি করায় বিমানে আর ওঠা হয়নি অ্যাড্রিয়ানোর।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে অ্যাসিস জানিয়েছেন, সব সময়েই বিমানবন্দরের কাউন্টারে কেউ না কেউ থাকেন। কিন্তু গত কাল ওই সময়ে কেউ ছিলেন না। এক বিমানকর্মী অ্যাসিসকে বিমানে উঠতে বাধা দেন। তার পরেই শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। সেই সময়ে কে জানত, ওই একটা সিদ্ধান্তই বদলে দেবে অ্যাসিসের ভাগ্য! সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাবেন তিনি।
অ্যাসিসের কথায়, “সেই সময়ে আমি ওই ব্যক্তির সঙ্গে তুমুল ঝগড়া করেছিলাম। আর উনিই আমার জীবন বাঁচিয়ে দিলেন।” বিমানের তথ্য অনুযায়ী ৫৮ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটির যাত্রা শুরুর কথা ছিল। অ্যাসিসই ছিলেন ৫৮তম যাত্রী। যাঁর আর ওঠা হয়নি সেই বিমানে।
তবে বিমান দুর্ঘটনার খবর পেতেই অ্যাসিস ফের পৌঁছন বিমানবন্দরে। খুঁজে বার করেন তাঁর পরম বন্ধুকে। জড়িয়ে ধরেন। জানান, অসাধারণ কাজ করেছিলেন। তিনি যদি নিজের কর্তব্যে অবিচল না থেকে অ্যামিসকে যেতে দিতেন, তা হলে আজ আর কথা বলার সুযোগ পেতেন না।
অ্যাসিসের কথায়, “আমি রেগে গিয়েছিলাম। কিন্তু এই বন্ধু (নাম জানেন না) আমাকে প্রাণে বাঁচিয়ে দিল।”
প্রসঙ্গত সাও পাওলো থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভিনহেডোয় বিমানটির দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কেউই বাঁচেননি।