Disease

জোড়া মাথা! চিকিৎসকরা বাঁচিয়ে রাখতেই চাননি, সেই ছেলেই হেসেখেলে পা দিল ১৮ বছরে

আমেরিকার মিসৌরির বাসিন্দা জনসন। যে বিরল রোগ নিয়ে তিনি জন্মেছিলেন, তার নাম ‘ক্র্যানিয়োফেসিয়াল ডুপ্লিকেশন’। এই রোগকে ‘ডাইপ্রোসোপাস’ও বলা হয়ে থাকে। গ্রিক ভাষায় এই শব্দের অর্থ ‘দুই মুখ’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মিসৌরি শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৩৫
Share:

বিরল রোগের শিকার যুবক। ছবি সংগৃহীত।

একটাই মাথা, তাতে দু’টি মুখ! বিরল রোগ নিয়ে জন্মেছিলেন যুবক। তাঁর জন্মের পর চিকিৎসকরা বলেই দিয়েছিলেন, তিনি আর বাঁচবেন না। কিন্তু, চিকিৎসকদের সেই ভবিষ্যদ্বাণী কার্যত ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন ট্রেস জনসন। সম্প্রতি নিজের ১৮ বছরের জন্মদিন পালন করেছেন তিনি।

Advertisement

আমেরিকার মিসৌরির বাসিন্দা জনসন। যে বিরল রোগ নিয়ে তিনি জন্মেছিলেন, তার নাম ‘ক্র্যানিয়োফেসিয়াল ডুপ্লিকেশন’। এই রোগকে ‘ডাইপ্রোসোপাস’ও বলা হয়ে থাকে। গ্রিক ভাষায় এই শব্দের অর্থ ‘দুই মুখ’। মূলত জিনগত কারণে এই রোগ হয়।

জানা গিয়েছে, জনসনের একটি মাথা হলেও তাতে রয়েছে দু’টি মুখ। নাকের মাঝ বরাবর একটি স্পষ্ট ফাটল চলে গিয়েছে কপাল পর্যন্ত। তার দু’দিকে মুখটি যেন দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। দু’ভাগে রয়েছে দু’টি চোখ। রোগের কারণে এক সময় দিনে ৪০০ বার খিঁচুনি হত তাঁর। কিন্তু জনসনের বাবা-মা জানিয়েছেন, ওষুধে তাঁদের ছেলের শারীরিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। একটি বিশেষ তেল ব্যবহারের পর ৪০০ থেকে খিঁচুনির পরিমাণ কমে এসেছে ৪০-এ।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমে জনসনের মা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের জন্মের পর চিকিৎসকরা কোনও আশার কথা শোনাতে পারেননি। এমনকি তাঁরা শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টাও করতে চাননি। জনসনের বাবা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যান।

জনসন বড় হলেও তাঁর মানসিক বিকাশ স্বাভাবিক হয়নি। এখনও শিশুর মতোই অপরিণত তিনি। তবে তাঁর মা জানিয়েছেন, যত দিন যাচ্ছে, তাঁর ছেলে ভাল হয়ে উঠছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement