সাংবাদিক বরিসের লেখা নিয়ে হইচই

লেখাটি ১৯৯৫ সালের। বরিস তখন সাংবাদিকতা করেন। একটি প্রবন্ধে তিনি শ্রমিক শ্রেণিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিখেছেন, শ্রমিকেরা আসলে ‘মদ্যপ, অপরাধী, উদ্দেশ্যহীন’ হয়ে থাকেন। একাকী মায়েদেরও তিনি ব্যাখ্যা করেছেন ‘মূর্খ’, ‘অজ্ঞ’, ‘আক্রমণাত্মক’ এবং ‘অবৈধ’ বলে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩২
Share:

বরিস জনসন। ছবি: শাটারস্টক।

তাঁর নামের সঙ্গে বিতর্ক জড়িয়েই থাকে। আরও এক বার শিরোনামে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ বার তাঁর লেখা প্রায় ২৪ বছরের পুরনো একটি প্রবন্ধ নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। অভিযোগ, সেই প্রবন্ধে একাকী মা ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষদের বর্ণনা করতে গিয়ে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

লেখাটি ১৯৯৫ সালের। বরিস তখন সাংবাদিকতা করেন। একটি প্রবন্ধে তিনি শ্রমিক শ্রেণিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লিখেছেন, শ্রমিকেরা আসলে ‘মদ্যপ, অপরাধী, উদ্দেশ্যহীন’ হয়ে থাকেন। একাকী মায়েদেরও তিনি ব্যাখ্যা করেছেন ‘মূর্খ’, ‘অজ্ঞ’, ‘আক্রমণাত্মক’ এবং ‘অবৈধ’ বলে। একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড সম্প্রতি বরিসের ওই লেখাটি প্রকাশ করেছে। এবং তাদের বক্তব্য, এ বার ব্রিটেনের মানুষ ভেবে দেখুন, আগামী সপ্তাহে তাঁরা কাকে ভোট দিতে চলেছেন।

বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধী দল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ইয়ান ল্যাভেরির বক্তব্য, ‘‘শ্রমিক শ্রেণি সম্পর্কে এই ধরনের কথাবার্তা অত্যন্ত অপমানজনক।’’ ইয়ানের আরও দাবি, বাস্তবের সঙ্গে বরিসের নিজের ধ্যান-ধারণার কোনও সম্পর্কই নেই। এবং শ্রমিক শ্রেণি সম্পর্কে বরিসের যে প্রবল ঘৃণা রয়েছে, তা-ও নতুন নয়।

Advertisement

একটি সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষা অবশ্য বরিসের দল অর্থাৎ কনজারভেটিভ পার্টিরই ফের ব্রিটেনে ক্ষমতায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে। গত বুধবারের করা একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, উত্তর এবং মধ্য ইংল্যান্ডের মধ্যবিত্ত এলাকাগুলিতেও বেশ কয়েকটি জেতা আসন হারতে পারে লেবার পার্টি। ওগুলো এ বার সব যেতে পারে কনজ়ারভেটিভদের দখলে।

এই অবস্থায় ওই প্রবন্ধটি নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ বরিসও। এবং পাল্টা চার দিতে ওই ট্যাবলয়েডকেই কাঠগড়ায় তুলছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ব্রেক্সিটের মতো বিষয় থেকে ভোটারদের নজর ঘোরাতেই এখন ওই সব অপ্রাসঙ্গিক লেখা প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই বরিস বলেছেন, ‘‘যখন ওগুলো লেখা, তখন আমি রাজনীতির ময়দানে পা-ই দিইনি। কাউকে আঘাত করার জন্য সে সব লেখাও হয়নি।’’

এর আগেও অবশ্য বহু বারই বিতর্কিত মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বরিস। কে কী পরবেন, সেটা তাঁর নিজস্ব অধিকার—

সেটা বোঝাতে গিয়েই এক বার বোরখা পরা মুসলিম মহিলাদের ডাকবাক্সের মতো দেখতে লাগে বলেছিলেন বরিস। সেই মন্তব্য নিয়েও বিস্তর হইচই হয় সে বার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement