বরিস জনসন। ফাইল চিত্র।
রাশিয়ার হুঙ্কারের বিরুদ্ধে এ বার সামরিক সুর চড়াল ব্রিটেন।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানালেন, পূর্ব ইউরোপে সৈন্য-সামন্তের পাশাপাশি অস্ত্র, যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ— সব কিছুর সংখ্যাই ‘প্রায় দ্বিগুণ’ করে ফেলার প্রস্তাব নেটোর কাছে রাখবে ব্রিটিশ প্রশাসন। আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই এই প্রসঙ্গে নেটোর সামরিক প্রধানদের কাছে আবেদন জানাবে লন্ডন। বর্তমানে পূর্ব ইউরোপের একাধিক দেশে ব্রিটেনের কমপক্ষে ১১৫০ জন সেনা রয়েছেন। সঙ্গে এস্টোনিয়ায় মোতায়েন রয়েছে তাদের পাঠানো প্রতিরক্ষা সরঞ্জামও।
শনিবার তাঁর বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই প্যাকেজের মাধ্যমে ক্রেমলিনের কাছে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছবে যে, আমরা তাদের স্থিতি-বিরোধী কাজকর্ম সহ্য তো করবই না। বরং রাশিয়ার অশান্তিমূলক পদক্ষেপগুলির মুখে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে আমরা সব সময়েই আমাদের নেটো-সহযোগীদের পাশে আছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যাতে ইউরোপ জুড়ে সেনা পাঠানোর জন্য তৈরি থাকে তারা। যাতে একসঙ্গে জলে, স্থলে এবং আকাশে নেটো সহযোগীদের পাশে দাঁড়াতে পারি আমরা।’’ একই সঙ্গে জনসনের মন্তব্য, ‘‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাডিমির পুতিন যদি শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে রক্তপাত এবং ধ্বংসের রাস্তা বেছে নেন তা হলে তা ইউরোপের জন্য বিয়োগান্তক প্রমাণিত হতে চলেছে। নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা ইউক্রেনের থাকা উচিত!’’ উল্লেখ্য, সামনের সপ্তাহেই ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সে সময়ে তিনি পুতিনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। আর্জি জানাবেন যাতে এ বার অন্তত মস্কো ইউক্রেনের উপর চাপ বাড়ানো থেকে বিরত হয়।
উল্টো দিকে, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ক্ষেত্রে আরও কড়া হতে চলেছে ব্রিটেন। এমনটাই মনে করছেন কূটনীতিকেরা। সোমবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে পার্লামেন্টে এই সংক্রান্ত কোনও বড়সড় প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের ঘোষণা হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিচ্ছেন তাঁরা। সোমবারই বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস শহরে নেটোর সদর দফতরে যাওয়ার কথা ব্রিটিশ আধিকারিকদের। মন্ত্রী-স্তরে আলোচনার পরে সামরিক শক্তি বাড়ানোর চূড়ান্ত প্রস্তাব নিয়ে ব্রাসেলসের উদ্দেশে রওনা হবেন তাঁরা। পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করতে মস্কোয় যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন ব্রিটিশ বিদেশ সচিব লিজ় ট্রুস এবং প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস। দেখা করবেন রুশ বিদেশ সচিব এবং প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে। সংবাদ সংস্থা